ধনী হওয়ার ২১ টি উপায় জানুনঅনেকে জানতে চাই গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করা কি জায়েজ, স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা যাবে কিনা? এই বিষয়ে পবিত্র কোরআনে স্বামী স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ গুলো সম্পর্কে জানার গুরুত্ব অনেক। পাত্রী দেখা শরীয়তের দৃষ্টিতে মুস্তাহাব,ইসলামে পাত্রী দেখা পাত্রী দেখার সংক্রান্ত বেশ কিছু বিধান রয়েছে।
পোস্ট সূচীপত্রকথাবার্তা সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পর গোপনীয়তা ভাবে কেবলমাত্র পাত্র-পাত্রী চেহারা দেখতে পারবে।প্রত্যেক পুরুষের একটি দুশ্চিন্তা থাকে ভালো স্ত্রী ভাগ্যে আসবে তো? তেমনি ভাবে প্রত্যেক মেয়েরই এই দুশ্চিন্তা থাকে যে ভালো স্বামী পাবে তো? তাই এরূপ দুশ্চিন্তা না করে ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর শেখানো দোয়াটি পড়লে আল্লাহ পাক মেহেরবানী করবেন।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে এবং স্বামী স্ত্রীর অধিকার এবং বিয়ে সম্পর্কে আরও হাদিস বিষয়ে বিস্তারিত জানবো। আশা করছি তথ্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে আসবে এবং সুষ্ঠু ও সুন্দর জীবন যাপনে অনেক সহায়ক হবে। আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত।
রিজিক
অনেকের আর্থিক স্বচ্ছলতা পরিপূর্ণ রিজিক থাকা সত্ত্বেও, বিয়ে করতে ভয় করে কারণ তার বিয়ে হওয়ার পর স্ত্রী সন্তানদের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে কিনা। এই দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে থেকে অনেকেই বিয়ে করতে ভয় পেয়ে থাকেন।বর্তমানে আর্থিক সঙ্গতি থাকলে ভবিষ্যতের ব্যাপারে আল্লাহ পাকের উপর ভরসা করে বিয়ে সম্পন্ন করার শিক্ষা দিচ্ছেন এই আয়াত।
মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, তোমাদের মধ্য থেকেই স্ত্রী দান করেছেন এবং তোমাদের স্ত্রীদের থেকেই পুত্র-গোত্র ও বংশধর সৃষ্টি করেছেন,আর তোমাদের সবাইকে উত্তম জীবন যাপন করার জন্য রিজিক দান করেছেন,
(সূরা আল-নাহল, আয়াত ৭২)এছাড়াও বিয়ের উসিলায় ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে সচ্ছলতা আসতে পারে।আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে ধনী ও বা সচ্ছল করে দিবেন নিশ্চয়ই আল্লাহতালা প্রাচুর্য দানকারী,সর্বজ্ঞ (সূরা নূর আয়াত ৩২)।
ইসলামে পাত্রী দেখার নিয়ম
পাত্রী দেখা শরীয়তের দৃষ্টিতে মুস্তাহাব। ইসলামে পাত্রী নিয়ম বা বিধান রয়েছে,কথাবার্তা সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পর গোপনীয়তা ভাবে কেবলমাত্র পাত্র-পাত্রী চেহারা দেখতে পারবে।বিস্তারিত দেখতে হলে ছেলের উচিত তার খানদানের মেয়েদের পাঠানো। আজকাল যেমন ছেলে তার বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে-
মেয়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঘটা করে দেখে এটা শরীয়তে নিষেধ। কারণ ঘটনা ক্রমে এই ছেলের সাথে বিয়ে না হলে, এটা মেয়ের জন্য এই চরম মানসিক আঘাতের কারণ হয়ে থাকে। পাত্রী তো বাজারের মাছ নয় যে দেখতে চাইলে পাত্রীকে তার ইজ্জতর হুরমত রক্ষা করা জরুরী। পত্রপক্ষের পাত্রী যখন পছন্দ হবে অথবা পাত্রী পক্ষের পাত্র যখন পছন্দ হবে,
তখনই বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর ব্যাপার আসে,তখন অনেকেই প্রস্তাব দিতে ইতস্তত বোধ করে অথচ এটা কোন নিন্দনীয় কিছু নয় বরং এটা কথাবার্তা সূচনার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়। কোরআন মাজিদে এরশাদ হয়েছে যদি তোমরা আকার ইঙ্গিতে নারীদের বিয়ের ব্যাপারে প্রস্তাব দাও তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই, (সূরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৩৫)।
গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে
পুরুষদের একাধিক বিয়ে করা আইন বা গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে অথবা স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে,যেভাবেই বলি না কেন, মানুষের চাহিদা সামর্থ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়ের লক্ষ্য করে, একজন পুরুষের জন্য এক থেকে চারজন পর্যন্ত নারীকে একই সাথে বিয়ে করা জায়েজ করা হয়েছে। কিন্তু যদি একাধিক স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা
-এবং সমতা বিধান করতে পারবে না বলে আশঙ্কা হয়, তাহলে মাত্র একজন স্ত্রী নিয়ে জীবন কাটানো উচিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন, মহিলাদের মধ্যে যাদের ভালো লাগে দুজন তিনজন কিংবা চারজন পর্যন্ত বিয়ে করো ইনসাফ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠায় যদি না পারার আশঙ্কা করো তাহলে
-মাত্র একজনকে বিয়ে করো (সূরা নিসা,আয়াতঃ ৩)। মেয়েদের স্বামীহীনা থাকা অনুচিত পবিত্র কুরআনে বিয়ের ব্যাপারে তাগিদ করা হয়েছে স্বামীহীনা নারী সে কুমারী হোক বা বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত তার বিয়ের ব্যবস্থা করা কর্তব্য। আল্লাহ পাক এরশাদ করেন তোমাদের মধ্যকার স্বামী না নারীদেরকে বিয়ে দিয়ে দাও (সূরা নূর, আয়াত-৩২)।
যাদের বিয়ে করা নিষেধ
বিয়ে করতে চাইলে যাকে খুশি স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। এই বিষয়ে কিছু নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে, ইসলাম ধর্মে যাদের বিয়ে করা নিষেধ সে বিষয়গুলো আমাদের একজন মুসলমান হিসেবে জানা জরুরী। এর জন্য ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান আছে । নিষিদ্ধ ঘোষিত শ্রেণী বাদ দিয়ে অন্য সব হালাল নারীদের থেকে জীবনসঙ্গিনী মনোনীত করতে হবে।
বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত নারীরা হচ্ছে, মহান আল্লাহতালা বলেন তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের কন্যা, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুপু, তোমাদের খালা, ভাতিজি, ভাগ্নি, তোমাদের দুধ মাতা, তোমাদের দুধ বোন, তোমাদের শাশুড়ি, তোমাদের সহবাস কৃত স্ত্রী গানের পূর্বের স্বামীর সন্তান যাদেরকে লালন পালন করছো
-যদি স্ত্রীর সাথে সহবাস না করে থাকে তাহলে স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামীর সন্তানকে বিয়ে করাতে কোন গুনাহ নেই। এমনিভাবে হারাম করা হয়েছে তোমাদের ঔরসজাত যত পুত্রদের স্ত্রীদের, আর দুই বোনকে একত্রে বিয়ে করাও হারাম কিন্তু যা অতীতে হয়ে গেছে তা ভিন্ন কথা নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী এবং অত্যন্ত দয়াশীল
-সূরা নিসা, (আয়াত ২৩) আজ-কাল অমুসলিমদের সাথে বিয়ে হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, অথচ অমুসলিমকে ঈমান গ্রহণের পূর্বে বিয়ে করা ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সম্পর্কে কোরআনে ইরশাদ হয়েছে মুশরিক বিধর্মী মেয়েদেরকে বিয়ে করো না, যতক্ষণ না তারা ঈমান আনায়ন করে ।
মুমিন নারী অবশ্যই দাসী-বাদী সম্ভ্রান্ত মুশরিকা বিধর্মী নারীর থেকে উত্তম, যদিও অমুসলিম নারীদের রূপ সৌন্দর্য তোমাদেরকে পাগল করে তোলে তারপরেও তাদের বিবাহ করো না। তেমনিভাবে মুশরিক বিধর্মী পুরুষ যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমান না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিকট তোমাদের কন্যাদেরকে বিয়ে দিওনা
-নিঃসন্দেহে একজন মুসলমান দাস গোলাম ও ঐশ্বর্যশালী মুশরিক বিধর্মী থেকে উত্তম যদিও সেই মুশরিকের রূপ ঐশ্বর্যের দ্বারা তোমরা অভিভূত হও তারা তো জাহান্নামের দিকে ডাকে আর আল্লাহ ডাকেন জান্নাতি ও ক্ষমার দিকে,(সুরা বাকারা, আয়াত-২২১)।
স্বামী স্ত্রীর অধিকার
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর এবং স্বামীর প্রতি স্ত্রীর যে অধিকারগুলো রয়েছে এই স্বামী স্ত্রীর অধিকার বিষয়গুলো আমাদের ইসলামিক জীবন যাপনের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী। দুটি ভিন্ন জীবন যখন এক হয়ে যায়। স্বামী স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে আপন করে নিতে পারে তার স্ত্রী ও তার স্বামীকে মনেপ্রাণে আচরণে গ্রহণ করতে পারে।
এবং যখন তারা যৌথ জীবনযাপনের ব্রতি হয়, তখনই তাদের মাঝে নিবিড় প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে আর সংসার সুখের হয়ে ওঠে জান্নাতি ধারায়।পোশাক যেমন মানুষের লজ্জা ঢেকে রাখে এবং ইজ্জত বাড়ায় আবার মানুষ পোশাককে যত্ন করে যখন গায়ে জড়িয়ে রাখে সম্মান পায় কদর পায়,
তেমনি আল্লাহতালা স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে নিবাস বা পোশাক বলে আখ্যায়িত করেছেন পোশাকের মতোই তারা একে অপরের ভদ্রতার আবরণ। পবিত্র কোরআনের এরশাদ হচ্ছে তারা নারীরা তোমাদের পুরুষের পোশাক আর তোমরা পুরুষেরা তোমাদের নারীদের পোশাক (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৭)।
অধিকার: যেখানে ভালোবাসা থেকে থাকে সেখানে অধিকার কর্তৃত্বের কোন মুহূর্তে ভালোবাসা কমে যায় কিংবা কোন মুহূর্তে ভালোবাসার অভাব ঘটে তখনই অধিকারের মানদন্ডের সমস্যার সমাধান করতে হয় তাই স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে কোরআন মাজিদে মহান আল্লাহ এরশাদ করেন
-স্বামীদের যেমন স্ত্রীদের উপর অধিকার রয়েছে ঠিক তেমনি স্ত্রীদের অধিকার রয়েছে স্বামীদের ওপর যথাযথ নিয়মে (সূরা বাকারা,আয়াত-২২৮)।
পুরুষদের কর্তৃত্ব:নারীরা জীবনে পদে পদে পুরুষদের মুখপেক্ষি হয়,পুরুষরাই যাবতীয় ক্ষেত্রে নারীদের সকল কিছুর ব্যবস্থা করে। নারীদের দেখাশোনা করে তাই পুরুষদের অভিভাবকত্ব মেনে নিতে নারীদের প্রতি আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে পুরুষেরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল।
স্ত্রীর দেনমোহর আদায় করতে হবে,বিয়ের সাথে সাথে স্ত্রীর খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান প্রভৃতি পাওয়ার উপযুক্ত হয়। তৎসঙ্গে তার দেনমোহর আদায় করে নিতে হয় এ ব্যাপারে মাপ নেয়া বা ক্ষমা চাওয়া হীনমন্যতা। কোরআন মজিদে আল্লাহপাক এরশাদ করেন, স্ত্রীদের দেনমোহর খুশি মনে দিয়ে দাও (সূরা নিসা,আয়াত- ৪)।
আল্লাহতালার নির্দেশ অনুযায়ী বৈবাহিক জীবন যাপনকরতে পারলে অবশ্যই দুনিয়াতে সুখ পাওয়া যাবে। আর পরকালেও স্বামী স্ত্রী একে অপরের জন্য জান্নাত লাভের সহায়ক হবে। পারিবারিক ও সামাজিক সুখ শান্তি সমৃদ্ধির জন্য ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে-শাদীসহ জীবনের সমুদয় কার্য পরিচালনা করা মুসলমানদের কর্তব্য।
বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি
বিয়ে নিয়ে ইসলামিক উক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু (সাঃ) হতে অজস্র হাদীস রয়েছে তার মধ্যে কতিপয় হাদিস নিম্নে বর্ণনা করা হলো।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেন ৩ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ তাআলার নিশ্চয়ই সাহায্য করেনঃ
- যে গোলাম তার মালিকের প্রাপ্য আদায় করে আজাদ হতে চাই
- যে ব্যক্তি নিজেকে ব্যভিচার হতে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিয়ে করে
- যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন,তোমাদের নিকট যখন তোমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এমন পাত্রের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে যার চরিত্র ও ধর্মীয় অবস্থার প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া যায়,তবে বিয়ে করিয়ে দাও। যদি বিয়ে না করাও তবে পৃথিবীতে ফিতনা ফাসাদের সৃষ্টি হবে।( তিরমিজি শরীফ)
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন তোমরা এরূপ রমণীকে বিয়ে কর যে রমনী মিশুক এবং বংশগতভাবে বেশি সন্তান প্রসব করে।কেননা আমি আমার উম্মতের সংখ্যা দিকের জন্য অন্যদের উপর গর্ববোধ করব এমনকি অকালে গর্ভপাত হওয়ার সন্তান দ্বারাও( আবু দাউদ শরীফ)।
রাসূল সাল্লাল্লা (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহকে ভয় করার পর কোন মুমিন বান্দা নেক স্ত্রী হতে আর কোন কিছুর দ্বারা এত লাভবান হতে পারেনা,যে স্ত্রী তার আদেশ মোতাবেক কাজ করে। দেখলে নয়ন জুড়ায় স্বামীর কসম পূর্ণ করে, স্বামী বাড়িতে না থাকলে নিজেকে এবং স্বামীর মাল সম্পদকে হেফাজত করে (ইবনে মাজাহ)।
রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ তা’আলা বলেন, বান্দা যখন বিয়ে করল সে তার অর্ধেক দিন পরহেজগারী পূর্ণ করল। তাই তার কর্তব্য বাকি অর্থায়নের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করা। (মিশকাত শরীফ)
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি বিয়ের ক্ষমতা রাখে অথচ বিয়ে করে না, সে আমার তরিকায় নেই। রাসূল (সাঃ ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে বিয়ে করবে তাকে এ সংক্রান্ত সর্ববিষয়ে সাহায্য করা হবে।
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে বিয়ে করল বা বিয়ে দিল সে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে দোস্তি করলো।
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, পরকালে আল্লাহতালা যখন তাঁর বান্দাকে উচ্চ মর্যাদা দান করবেন, তখন বান্দা বলবে হে আল্লাহ আমি এ মর্যাদা কিভাবে পেলাম?তখন বলা হবে তোমার সন্তানের দোয়ার বরকতে।
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, সেই পুরুষ মিসকিন যার স্ত্রী নেই এবং সেই রমণীও মিসকিন যার স্বামী নেই, যদিও তারা ধনী হয়ে থাকে।
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, মহান আল্লাহ তায়ালা স্বামী স্ত্রীর মুখের হাসি তামাশা দেখে খুশি হন এবং এই জন্য তাদের আমলনামায় সওয়াব লিখেন, আর তাদের জন্য হালাল রিজিকের ব্যবস্থা করেন। (কানজুল উম্মাল)।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, কোন ব্যক্তি যদি জামাতে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যায় সে যতটুকু সওয়াব পায় মসজিদ হতে পরিবারের নিকট আসলেও ততটুকু সওয়াব পাই।সবুজের দিকে দেখাতে চোখের জ্যোতি বাড়ে।কোন স্বামী যখন তার স্ত্রীর দিকে রহমতের দৃষ্টি করেন আর স্বামী যখন স্ত্রীর হাতে ধরে তবে উভয়ের পাপ সমূহ তাদের আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ে যায়।
কোন যুবক যখন তার যৌবনের প্রান্তরেই বিয়ে করে ফেলে তবে শয়তান এই বলে চিল্লাতে থাকে যে এই ব্যক্তি আমার হতে তার ধর্মকে বাঁচিয়েছে। বিবাহিতদের দুই রাকাত নফল নামাজ অবিবাহিতদের ৮২ রাকাত হতে উত্তম।
বান্দা যখন তার পরিবারের কোনো কাজে বাহির হয় তখন আল্লাহ তাআলা তার প্রতি পদে পদে একটি দরজা খুলে দেন,আর যখন কাজ করে ফেলে তখন তার গুনাহ মাফ করে দেন।যে ব্যক্তি কষ্ট করে বা সচ্ছলতায় যে কোন স্থান থেকে তার পরিবারের লোকদের জন্য বন্দোবস্তের চেষ্টা করে সে পরকালে উচ্চ দরজা লাভ করবে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অন্যত্রে এরশাদ করেন তোমরা খাইবারের দামন মেয়ে লোককে বিয়ে করো না। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন তা কেমন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন চরিত্রহীনা সুন্দরীদেরকে (পুস্তানুল আরেফিন)।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোরআন হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী তথা শরীয়তের বিধিবদ্ধ হুকুম মতো বিয়ে করলে ইহ জীবনের সুখ এবং পরজীবনে মুক্তি ও কল্যাণ লাভের আশা করা যায়।
FAQ
দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়া যাবে কি?
দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়া আইনগতভাবে সম্ভব, কিন্তু কিছু জটিলতা রয়েছে।
- অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে, প্রথম স্ত্রী আদালতে মামলা করতে পারেন এবং দ্বিতীয় বিয়ে বাতিল হতে পারে।
- দ্বিতীয় বিয়ের জন্য সালিসি পরিষদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
- সালিসি পরিষদ অনুমতি দেওয়ার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবে
- দ্বিতীয় স্ত্রী হওয়া সহজ নয়।
- সমাজের কিছু মানুষ দ্বিতীয় স্ত্রীকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারে।
- পারিবারিক জীবনে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
- প্রথম স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কঠিন হতে পারে।
একজন পুরুষ কি দুই স্ত্রী বিয়ে করতে পারবে?
মানুষের চাহিদা সামর্থ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিষয়ের লক্ষ্য করে, একজন পুরুষের জন্য এক থেকে চারজন পর্যন্ত নারীকে একই সাথে বিয়ে করা জায়েজ করা হয়েছে। কিন্তু যদি একাধিক স্ত্রীর মাঝে ইনসাফ ও ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠাএবং সমতা বিধান করতে পারবে না বলে আশঙ্কা হয়, তাহলে মাত্র একজন স্ত্রী নিয়ে জীবন কাটানো উচিত।
বাংলাদেশে একজন পুরুষ কি দুই স্ত্রী বিয়ে করতে পারবে?
দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য পুরুষকে অবশ্যই তার প্রথম স্ত্রীর লিখিত সম্মতি নিতে হবে।সালিসি পরিষদের দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য সালিসি পরিষদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য পুরুষকে বিশেষ কারণ (যেমন: প্রথম স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, দাম্পত্য জীবনে অসঙ্গতি ইত্যাদি) দেখাতে হবে।
ইতিকথা
প্রিয় পাঠক,আমরা আজকে এই আর্টিকেলটি থেকে ইসলামের আলোকে বিবাহ ও স্বামী স্ত্রীর অধিকার সম্পর্কে কিছু তথ্য জানলাম এবং ইসলামের পাত্র পাত্রী দেখা বিষয়ে আলোচনা করলাম। আশা করছি এ বিষয়গুলো পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।
পোস্ট ট্যাগ-
স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে,এক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও পুরুষের দ্বিতীয় বিবাহ অর্থ,দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি পত্র,দ্বিতীয় বিয়ের উপকারিতা,প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে হাদিস,তথ্য গোপন করে বিয়ে,হিন্দু আইনে দ্বিতীয় বিবাহের শাস্তি,দ্বিতীয় বিয়ের আবে।