সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা জানুনড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অবাক করার মতো।ড্রাগন ফল বিদেশি ফল হলেও আমাদের দেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। ফলে এর দেখা মিলছে এখন প্রায় সবখানেই। ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা জানার আগ্রহ প্রায় সবারই থাকে, ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক পরিমাণে রাখতে ড্রাগন ফলের বিশেষ উপকারিতা রয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রবিশ্বব্যাপী ড্রাগন ফল বিভিন্ন নামে পরিচিত ড্রাগন ফল চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে এবং এর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফল এবং এই ফলের ভেতরে জলীয় অংশ প্রচুর পরিমাণে থাকায়, শরীরের পানি শূন্যতা পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা ড্রাগন ফুলের পুষ্টিগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।ড্রাগন ফল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল,ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Hylicereus Undatus, ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে।শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সঠিক নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে,ড্রাগন ফল একটি গ্রীষ্মকালীন ফল,ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Hylicereus Undatus, ড্রাগন ফলে থাকা ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে।শরীরের জন্য ক্ষতিকর দূর করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ড্রাগন ফল।
নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে,ড্রাগন ফলের কালোজিরার দানার মত ছোট ছোট বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি,ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ড্রাগন ফল হার্টের জন্য অনেক উপকারী।
বিশেষ গুণাবলী সমৃদ্ধ এই ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ড্রাগন ফল।বেশ কিছু প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেলে ড্রাগন ফল থেকে। এগুলো আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান সমৃদ্ধ এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ ও ফ্যাট ফ্রি, যার ফলে নিশ্চিন্তে ডায়েট লিস্টে রাখতে পারেন ড্রাগন ফল।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে ড্রাগন ফল থেকে। ড্রাগন ফল আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল।আয়রনের চমৎকার উৎস রয়েছে রঙিন ড্রাগন ফলে।
রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করতে চাইলে তাই প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন, স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ড্রাগন ফল।ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ড্রাগন ফল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে উপকারী এই ড্রাগন ফলের।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে, ড্রাগন ফল এর ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় বহুগুণ।বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে।ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।
- ঘুমের ঘনত্ব বাড়ে
- পেটের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে
- হজম শক্তি বাড়ে
- হার্মোন স্তর নিয়ন্ত্রণে থাকে
- হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
- সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
- স্নায়ুসংক্রান্ত প্রতিরোধশীলতা গড়ে তোলে
- ক্যান্সার প্রতিরোধশীলতা বাড়ে
- মনোবল ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে
- স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর
- স্বাস্থ্যকর চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করে
- স্বাস্থ্যের বিষাক্ত পদার্থ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
তাই আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পাকা ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
সুস্বাদু ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা জন্য এই ফলটি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত এই ফল। আশ্চর্যজনক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং এর স্বাদ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। ড্রাগন ফল কয়টি দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। নামের ভিন্নতা থাকলেও পুষ্টি গুণে অনন্য এর ড্রাগন ফল খেতে দারুন স্বাদের।
তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখতে পারেন। ড্রাগন ফল মূলত বিদেশি ফল হলেও এই ফল এখন দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কিনতে পাওয়া যায়। রোগমুক্ত শরীর গঠনে ড্রাগন ফলের আশ্চর্যজনক গুনাগুনের কারণে পুষ্টিবিদদের বিশেষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলের তালিকায় স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে ড্রাগন ফল।
প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগনফলের পুষ্টিগুণঃ
- প্রোটিন ০.১৫-০.৫ গ্রাম
- আয়রন ০.৩-০.৭ মিলিগ্রাম
- শর্করা ৯-১০ গ্রাম
- ফসফরাস ১৬-৩৫ গ্রাম
- জলীয় অংশ ৮০ গ্রাম
- ভিটামিন বি ৩ -০.২-০.৪ মিলিগ্রাম
- খাদ্য শক্তি -৩৫-৫০ কিলোক্যালোরি
- ক্যালসিয়াম -৬-১০ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট ০.১০-০.৬ মিলিগ্রাম
- আঁশ ০.৩৩-০.৯০ গ্রাম
- ক্যারোটিন — অল্প পরিমাণে
- ভিটামিন এ — অল্প পরিমাণে
- থায়ামিন — অল্প পরিমাণে
- রিবোফ্লামিন — অল্প পরিমাণে
তাই আপনার স্বাস্থ্যকর ফলের তালিকায় রাখতে পারেন অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম বলতে গেলে তেমন কোনো বিশেষ নিয়ম নেই এই ফল খাওয়ার, অন্যান্য ফলের মতোই আপনি একে কেটে খেতে পারেন আপেলের মতো কেটে চার ভাগ করে খেতে পারেন। ড্রাগন ফল খোসা ফেলে জুস করে খেতে পারেন। সালাদ হিসেবেও খাওয়া অনেক উপকারী। কিন্তু রান্না করে খেলে তাপে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
তাই রান্না না করে খাওয়ায় ভালো। রাতের খাবার শেষে অতিরিক্ত খাবার হিসেবে ড্রাগন ফল অত্যান্ত উপকারী হয়ে থাকে, তাই আপনি চাইলে রাতের খাবার খাওয়া শেষে ড্রাগন ফল জুস করে অথবা সাধারণ ফলের মত কেটে খেতে পারেন। এতে আপনার রাতের ভালো ঘুমের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলে বিশেষ পুষ্টিগুনের পাশাপাশি ড্রাগন ফলের অপকারিতাও রয়েছে এবং এই অপকারিতা গুলো জেনে নেয়াও আমাদের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি।অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় আপনি যদি বিশেষ পুষ্টিগুণের আসায় মাত্র অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেয়ে ফেলেন, তাহলে এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে আপনার শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে।
ড্রাগন ফলের বীজ চিবিয়ে না খেলে কখনো কখনো হজম না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,তাই ড্রাগন ফলের বীজ অবশ্যই চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। স্বাভাবিক নিয়মে ড্রাগন ফল খেলে কোন সমস্যা হয় না। তাই খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকবেন।
বিশেষ করে লাল ড্রাগন ফল খাওয়ার পর প্রস্রাবের রং লাল হতে পারে, এতে ভয়ের কিছু নেই কিন্তু অবশ্যই নিয়ম মাফিক খাওয়াটাই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। কারণ উপকারের জন্য অতিরিক্ত খেয়ে যদি ক্ষতি হয় তাহলে পরিমান মত খাওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ড্রাগন ফল কত প্রকার
অনেকেই ড্রাগন ফল কত প্রকার তা জানতে চাই, ড্রাগন ফলের বেশ কিছু জাত রয়েছে যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আবহাওয়ায় বিভিন্ন জাতের ড্রাগন ফল চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ড্রাগন ফলের আলাদা চারটি প্রজাতিও উদ্ভাবন করেছেন। এই জাত গুলো হল বারি-১ যা কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবন করেছে।
এছাড়া কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগ ও জার্মপ্লাজম সেন্টার মিলিতভাবে তিন প্রজাতির ড্রাগন ফল উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হচ্ছে বাউ ড্রাগন-১, বাউ ড্রাগন-২ এবং বাউ ড্রাগন-৩ বাংলাদেশ এখন এই চার প্রজাতির ড্রাগন ফল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা জানা থাকলে আপনি কখনো গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন না, কারণ হলগর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল ক্ষতিকর বা অনিরাপদ এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা অবাক করার মত।
ড্রাগন ফলের থাকা ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে।এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশ ঘটায়।এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম,মহিলাদের পোস্টমেনোপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় শরীরে আয়রন ও ওমেগা ৩ এর ঘাটতি পূরণে অনেক সময় ক্যাপসুল খেতে হয়।
সেক্ষেত্রে ড্রাগন ফল বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে ড্রাগন ফল খাওয়া আপনার জন্য কতটা উপকারি আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন, তাই গর্ভাবস্থায় আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখতে পারেন ড্রাগন ফল। এতে করে আপনার গর্ভের শিশুর শারীরিক বিকাশ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা
আপনি চাইলে ড্রাগন ফল দিয়ে রূপচর্চা ও করতে পারেন এবং এটি রূপচর্চার জন্য অত্যন্ত আদর্শ একটি ফল। শুধু খেয়েই কাজ শেষ নয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন ড্রাগন ফল। কিভাবে ব্যবহার করবেন? ত্বকের দূষিত পদার্থ দূর করতে এবং মৃত কোষ গুলোকে সারিয়ে তুলতে চেয়ে থাকেন তাহলে অত্যন্ত কার্যকরী পাকা ড্রাগন ফল। তাই আপনার ত্বকে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন উপকারী এই পাকা ড্রাগন ফল।একটি মাঝারি সাইজের পাকা ড্রাগন ফল দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
- ১টি মাঝারি সাইজের ড্রাগন ফল
- ২ চামচ বেসন
- ৩০ ফোঁটা গোলাপ জল
- ৪ চামচ কাঁচা দুধ
- ১ চা চামচ টক দই
এগুলো একত্রে করে ভালো করে মিশ্রণ বানিয়ে তারপর এই প্যাকটি ঘাড়ে এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য। এরপর আঙ্গুল দিয়ে ম্যাসাজ করে, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন,ড্রাগন ফলে হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য আছে তাই। এটি ব্যবহার করলে, মুখ ময়েশ্চারাইজড হয়। এই ফলটি, ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলে আরো রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি,যা ত্বককে ক্ষতির থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে চিরতরুণ রাখতেও সাহায্য করে। এবং বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ দূর করে,মুখের বিভিন্ন ধরনের দাগ দুর করে ড্রাগন ফল।
দীর্ঘদিন ত্বকে এই ফল ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা আশ্চর্যজনক ভাবে বেড়ে যায়। পাকা ড্রাগন ফল প্রদাহরোধী,তাই এই ফল ত্বকের ক্ষত ভালোভাবে সারিয়ে তুলতেও ও ত্বক মসৃণ তুলতুলে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের লালভাব থেকেও রক্ষা করে।
FAQ
ড্রাগন ফল কেন খাবেন?
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি মেলে ড্রাগন ফল থেকে। ড্রাগন ফল আপনার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।শরীরের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে ড্রাগন ফল।আয়রনের চমৎকার উৎস রয়েছে রঙিন ড্রাগন ফলে।
ড্রাগন ফল খেলে কি মোটা হয়?
ড্রাগন ফল খেলে শরীর মোটিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল। এর ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায় বহুগুণ।বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ ফলটি নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে ও ছানি পড়ার ঝুঁকি কমে। ড্রাগন ফলের ছোট কালো বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন ফ্যাটি অ্যাসিড। এগুলো হার্টের জন্য উপকারী।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা কি?
আপনি যদি বিশেষ পুষ্টিগুণের আসায় মাত্র অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খেয়ে ফেলেন, তাহলে এর সাইড ইফেক্ট হিসেবে আপনার শরীরে অ্যালার্জি হতে পারে।ড্রাগন ফলের বীজ চিবিয়ে না খেলে কখনো কখনো হজম না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে,তাই ড্রাগন ফলের বীজ অবশ্যই চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। স্বাভাবিক নিয়মে ড্রাগন ফল খেলে কোন সমস্যা হয় না।
শেষ কথা
আজকে আমরা ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানলাম। আমরা আশা করছি এ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি সঠিক তথ্যগুলো আপনাদের সাথে তুলে ধরার জন্য।
পোস্ট ট্যাগ-
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা,ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়,ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা,ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম,ড্রাগন ফল গাছ,বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা,ড্রাগন ফলের দাম