সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজের ধরা হয়ে থাকে। গভীর রাতে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ে সওয়াব অনেক বেশি।
ভূমিকা । মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত এবং এর ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব, আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এবং সে অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি এবং নৈকট্য লাভ করতে পারবেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
একজন মুমিনের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজই দোয়া কবুলের সর্বোত্তম মাধ্যম। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও তাৎপর্য অন্য সব নামাজের চেয়ে বেশি। হাদিস ঘোষণা করে যে, ফরয সালাতের পর রাতের নির্দেশিত অংশে তাহাজ্জুদ সালাত হল সর্বোত্তম ইবাদত। শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এটি কার্যকর ইবাদত।
আরো পড়ুনঃ আজকের মার্সেল ফ্রিজের দাম
রাতের কিছু অংশ ঘুমানোর পর তাহাজ্জুদের নামায পড়তে হবে। এবংদোয়া করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। একজন মুমিন মুসলমান শয়তানের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে উপযুক্ত আমল হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই সুবিধাগুলো লাভ করতে এবং শয়তানের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত হতে তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
হাদিসে উল্লেখ আছে-হজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ফরজ সালাতের পর রাতের তাহাজ্জুদ সালাত সর্বোত্তম ইবাদত। (মুসলিম শরিফ)’ তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন,রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ কায়েম কর; এটি তোমার জন্য একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব।
আরো পড়ুনঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ১৫টি উপায় জেনে নিন
ভরসা রাখো, তোমার পালনকর্তা তোমাকে মাকামে মাহমুদ অর্থাৎ প্রশংসার স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ (সূরা বনি ইসরাইল-আয়াত নাম্বার-৭৯) তাহাজ্জুদ নামাজ হল মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম।আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহাজ্জুদ নামাযের গুরুত্বের উপর
-গুরুত্বারোপ করেছেন এবং মুমিনের বিশেষ সতর্কতা ও উপকারিতার কথা বলেছেনহজরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন শয়তান তার মাথার গলার প্রান্তে তিনটি গিট মারে। প্রতিটি গিট দেওয়ার সময় শয়তান এই মন্ত্রটি পাঠ করে
আরো পড়ুনঃ মশা মারার স্প্রের দাম
-নিশ্চিন্তে ঘুমাও এখনো অনেক রাত বাকি আছে তোমার আরো ঘুমের প্রয়োজন তুমি আরো ঘুমাও ইবাদতের সময় এখনো হয়নি।অতঃপর সেই ব্যক্তি যদি ঘুম থেকে উঠে আল্লাহকে স্মরণ করে, তাহলে শয়তানের দেয়া গিটের একটি বাঁধন খুলে যায়। অযু করার পর আরেকটি বাঁধন খুলে যায়। তাহাজ্জুদ নামায আদায় করার পর শয়তানের দেয়া সকল বাঁধন-গিট খুলে যায়।
আর তার ফলস্বরূপ, তিনি ভোরবেলায় উদ্যমী এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে জেগে ওঠেন। অন্যথায় যারা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়েনা তারা অলসতা এবং ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জেগে ওঠে। (মুয়াত্তা মালেক, বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ) থেকে বর্ণিত।ইসলামের প্রাথমিক যুগে কাফেরদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের বিজয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিল।
আরো পড়ুনঃ 40 দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
সাহাবায়ে কেরাম রাত্রির শেষভাগে আল্লাহর দরবারে চোখের জল ফেলতেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইমরান এর ১৭ নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহতালা বলেন,তারা কঠিন পরীক্ষায় অত্যন্ত ধৈর্যশীল, অটল, সত্যের অনুসারী, অত্যন্ত অনুগত। যে ব্যক্তি তার সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে এবং রাতের শেষ প্রহরে
-আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।পাঁচ ওয়াক্ত নামায মুমিনের পরিচয় বহন করে এবং এর গুরুত্ব অপরিসীম। এর পরই যে নামায আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় তা হল তাহাজ্জুদ নামাজ। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন নবী করীম (সঃ) বলেন-রমযানের পর রোযা রাখার উত্তম সময় মুহাররম মাস আর ফরয নামাযের পর উত্তম নামাজ রাতের নামাজ,
-অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭২৫)তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে একজন বান্দা মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও নৈকট্য লাভ করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নামাজ আদায় করলে প্রকাশ্য সদকা আদায় করা হয়। আর তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করলে গোপন সদকা আদায় করা হয়।তাহাজ্জুদ নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। এই ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের মধ্যে নিম্নরূপঃ
১। তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “ফরজ নামাযের পর সর্বোত্তম নামায হল রাতের সালাত (তাহাজ্জুদ)।” (বুখারী, মুসলিম)
২। তাহাজ্জুদ নামাজ গুনাহ মাফ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করবেন এবং তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।” (তিরমিযী)
৩। তাহাজ্জুদ নামাজ রিযিক বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, আল্লাহ তার রিজিক বাড়িয়ে দেবেন। (আবু দাউদ)
৪। তাহাজ্জুদ নামাজ দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভের অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, সে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ করবে। (বুখারী)
৫। তাহাজ্জুদ নামাজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, সে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার অধিকারী হবে।” (তিরমিযী)
৬। তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ লাভের অন্যতম উপায়। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করবে, আল্লাহ তার উপর রহমত ও বরকত বর্ষণ করবেন।” (বুখারী)
৭। তাহাজ্জুদ নামাজ স্বাস্থ্য ও সুস্থতা লাভের অন্যতম উপায়। হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, তার শরীর ও মন সুস্থ থাকবে। (আবু দাউদ)
৮। তাহাজ্জুদের নামায মানসিক প্রশান্তি ও মানসিক প্রশান্তি লাভের অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়বে, তার মন প্রশান্ত ও প্রশান্ত থাকবে।” (আবু দাউদ)
৯। তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার অন্যতম মাধ্যম। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের আমল। (তিরমিযী)
তাহাজ্জুদ নামাজের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে তার মধ্য থেকে মাত্র এই ৯টি গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত থেকে বোঝা যায় যে, তাহাজ্জুদ নামায একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পুণ্যময় আমল। একজন মুমিন মুসলমানের উচিত আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত
আরবি নিয়তঃ نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ رَكَعَتِى التَّهَجُّدِ – اَللهُ اَكْبَر বাংলায় উচ্চারণঃনাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া রাকআতাইত তাহাজ্জুদি আল্লাহু আকবার।বাংলা নিয়তঃ দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি, ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া শুরু করতে হবে। আরবিতে নিয়ত করতে না পারলে সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময়
তাহাজ্জুদ নামাজের সঠিক সময়, মূলত তাহাজ্জুদ নামাযের সময় এশার নামাযের পর শুরু হয় এবং তাহাজ্জুদের নামাযের সময় থাকে রাতের শেষাংশ পর্যন্ত মানে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজের সময় থাকে। তবে তাহাজ্জুদ নামাজের সর্বোত্তম সঠিক সময় হল রাতের শেষ দিকে।
যে ব্যক্তি রাতের শেষাংশে তাহাজ্জুদ পড়ার ব্যাপারে নিয়ত করে থাকে, তবে সে যেন রাতের প্রথম অংশে বিতরের নামায আদায় করে অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পরে।
মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
মহিলাদের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম হল,দুই রাকাত দুই রাকাত করে পড়তে হবে এবং মোট আট রাকাত নামায পড়তে পারলে খুবই উত্তম এবং নামাজের মনোযোগীতার সহিত লম্বা সিজদা করতে পারলে আল্লাহর কাছে তা বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে। সময় না থাকলে মাত্র দুই রাকাত পড়া যাবে।
তাহাজ্জুদ নামায পড়তে চাইলে কমপক্ষে দুই রাকাত নামায পড়তে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোন নামাজি যেন তাড়াহুড়া করে না পড়া হয় খুবই মনোযোগের সহিত নামাজ পড়লে আল্লাহর কাছে তা বেশি গ্রহণযোগ্যতা পায়।
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত
তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত জেনে নেয়া যাক,তাহাজ্জুদের নামাজ হল একটি নফল, ও বরকতময় নামাজ। এই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে অনেক কাছে চলে যাই এবং অনেক প্রিয় হয়ে ওঠে তাই এই নামাজটি আমাদেরকে সঠিক নিয়ম-কানুন জেনে এবং মেনে পড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে আরবিতে নিয়ত করতে জানেনা
-বা উচ্চারণ করতে পারেনা সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই।বাংলায় নিয়ত করলেও এ নামাজটি আল্লাহর কাছে কবুল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। তাই আমরা আরবিতে না পারলেও বাংলায় নিয়ত করব সে ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না। তাহাজ্জুদ নামাজের বাংলা নিয়ত হলোঃ দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নামাজের নিয়ত করছি, ‘আল্লাহু আকবার’ বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া শুরু করতে হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজ কত রাকাত
আরো একটি হাদিসে বর্ণিত আছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আবি কাইস বলেন, আমি হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, নবীজী বিতরে কত রাকাত পড়তেন? উত্তরে তিনি বলেন, চার এবং তিন, ছয় এবং তিন, আট এবং তিন, দশ এবং তিন। তিনি বিতরে সাত রাকাতের কম এবং তের রাকাতের অধিক পড়তেন না।” (সুনানে আবু দাউদঃ হাদিস নাম্বার ১/১৯৩)
আরো পড়ুনঃ কতটুকু বীর্য বের হলে গোসল করা যায়
হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, হজরত আবু সালামা ইবনে আবদুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি হজরত আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন, রমজানে নবীজীর নামাজ কেমন হতো? তিনি উত্তরে বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানে এবং রমজানের বাইরে এগারো রাকাতের বেশি পড়তেন না।
প্রথমে চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করো না! এরপর আরও চার রাকাত পড়তেন, যার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা তো বলাইবাহুল্য! এরপর তিন রাকাত (বিতর) পড়তেন।” (সহিহ বোখারিঃ হাদিস নাম্বার ১/১৫৪) তাহাজ্জুদ নামাজ ২ রাকাতের নিয়ত করে ২ রাকাত ২ রাকাত করে পড়া যায়, আবার ৪ রাকাতের নিয়ত করে ৪ রাকাত করে পড়া যায় (ফাতওয়ায়ে শামিঃ২/৪৫৫)।
FAQ । মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
তাহাজ্জুদ নামাজের কি ফজিলত?
একজন মুমিনের জন্য তাহাজ্জুদ নামাজই দোয়া কবুলের সর্বোত্তম মাধ্যম। তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও তাৎপর্য অন্য সব নামাজের চেয়ে বেশি। হাদিস ঘোষণা করে যে, ফরয সালাতের পর রাতের নির্দেশিত অংশে তাহাজ্জুদ সালাত হল সর্বোত্তম ইবাদত। শয়তানের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে এটি কার্যকর ইবাদত।
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইলে কি পাওয়া যায়?
সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন,রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ কায়েম কর; এটি তোমার জন্য একটি অতিরিক্ত দায়িত্ব।ভরসা রাখো, তোমার পালনকর্তা তোমাকে মাকামে মাহমুদ অর্থাৎ প্রশংসার স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন। (সূরা বনি ইসরাইল-আয়াত নাম্বার-৭৯)তাহাজ্জুদ নামাজ হল মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক স্থাপনের অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম।আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাহাজ্জুদ নামাযের গুরুত্বের উপরগুরুত্বারোপ করেছেন।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সময় কখন থেকে শুরু হয়?
এশার নামাযের পর শুরু হয় এবং তাহাজ্জুদের নামাযের সময় থাকে রাতের শেষাংশ পর্যন্ত মানে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত।
তাহাজ্জুদ নামায কি ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়?
রাতের কিছু অংশ ঘুমানোর পর তাহাজ্জুদের নামায পড়তে হবে। এবংদোয়া করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। একজন মুমিন মুসলমান শয়তানের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে মুক্তি পেতে উপযুক্ত আমল হলো তাহাজ্জুদ নামাজ।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই সুবিধাগুলো লাভ করতে এবং শয়তানের অনিষ্টতা থেকে মুক্ত হতে তাহাজ্জুদ নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন।
শেষ কথা । মহিলাদের তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত
প্রিয় পাঠক,আশা করছি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।আমাদের ওয়েবসাইটের সমস্ত আর্টিকেল গুলো আপনাদের জন্য অনেক informative হবে। আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পোস্ট ট্যাগ-
৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত,তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হয়,তাহাজ্জুদ নামাজের ঘটনা,তাহাজ্জুদ নামাজের হাদিস,তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত হাদিস,তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত আল কাউসার,তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম,তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়।