বাড়িতে পিজ্জা বানানোর সহজ রেসিপিআজকে আমরা জানবো মুরগির মাংসের ভুনা রেসিপি কিভাবে রান্না করতে হয় এবং আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। ঘরে থাকা বেসিক মসলা গুলো দিয়ে কিভাবে সুস্বাদু ভাবে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি বানানো যায় তা আজকে আপনারা আপনাদের জানাবো।
পোস্ট সূচীপত্রমুরগির মাংস কমবেশি আমরা সবাই খেয়ে থাকি কিন্তু সেটা যদি একটু সঠিক পরিমাণে মসলা দিয়ে রান্না করা যায় সঠিকভাবে মশলার ব্যবহার করে রান্না করলে তা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আমরা সঠিক ভাবে মসলার ব্যবহার করে কিভাবে রান্না করতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো ঘরে থাকা সাধারণ মসলাগুলো দিয়ে, কিভাবে দেখতে আকর্ষণীয় এবং খেতে সুস্বাদু, মুরগির মাংস রান্না করা যায। সে সম্পর্কে বিভিন্ন আইটেমের রেসিপি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা মুরগির মাংস কিভাবে সুস্বাদু ভাবে রান্না করতে হয় সে বিষয়ে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি
প্রথমে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি করার জন্য একটি মুরগির পা, পাখনা, এবং গলা মাংস বাদ দিয়ে বাকি মাংসগুলো আলাদা করে নিতে হবে। তারপরে সেগুলোকে ভালো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে, পানি
আরো পড়ুনঃপাকা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা
-গুলো ভালোভাবে যেন ঝরে যায়, সেজন্য একটি ছাঁকনি টাইপের বাটিতে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।তারপরে মাংসটাকে ম্যারিনেট করার জন্য নিম্নে উল্লেখিত উপকরণ গুলি দিয়ে ম্যারিনেট করতে হবে ।
প্রতি এক কেজি মুরগির মাংস মেরিনেট করার জন্য জন্যঃ
- ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ মরিচের গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ জিরার গুঁড়া
- ১ চা চামচ লবণ
- ১ চা চামচ সয়াবিন তেল
- ১৫ ফোটা লেবুর রস
ব্যবহার করে ভালো করে মাংস টাকে মাখিয়ে নিতে হবে তারপর এমনিভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এখানে লেবুর রস যুক্ত করার কারণটা হচ্ছে লেবুর রস মুরগির মাংস মেরিনেট করার সময় ব্যবহার করলে মুরগির মাংসের যে আষ্টে গন্ধ থাকে সেটি দূর হয়ে যায়।
প্রতি ১ কেজি পরিমাণে মুরগির মাংস ভুনা রেসিপি করার উপকরণঃ
- ১ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া
- ১ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া
- ১/২ টেবিল চামচ ধনিয়া গুড়া
- ১ টেবিল চামচ জিরা গুড়া
- এবং পরিমাণ মতো লবণ
একটি বাটিতে নিয়ে তার মধ্যে হালকা পরিমাণে পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলতে হবে। এভাবে মসলা আগে থেকে ভিজিয়ে রাখলে বাটা মশলার একটা সাদ আসবে এবং সেইসাথে মশলাটা কষানোর সময় পুড়ে যাবে না, এবং মাংসের কালার খুব সুন্দর হবে। এখন আপনাকে এক কাপ পরিমাণে সয়াবিন তেল নিতে হবে
আরো পড়ুন কাঁচা টমেটোর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে নিন
-এবং সেটি একটি প্যানে মিডিয়াম টু হাই ফ্রেমে মেরিনেট করা মাংসটাকে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লো ফ্রেমে মাংসটি ভাজা যাবে না, এতে করে মাংস পানি ছেড়ে দেবে এবং মাংসের ভেতরে মসলা প্রবেশ করতে পারবে না। এ বিষয়টি ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং মাংসটা হালকা একটু রং ধরলেই নামিয়ে নিতে হবে।
এই আন্দাজটা যাদের নেই যারা নতুন রাধুনী, তাদের ক্ষেত্রে ঘড়ি ধরে মাংসের প্রত্যেকটি পাট দুই থেকে আড়াই মিনিট ধরে ভেজে নিতে হবে। তারপর উল্টিয়ে নিয়ে পরের পরের পাটও দুই থেকে আড়াই মিনিট ভেজে নিতে হবে।
এতে করেই আমি যে রংটার কথা বলছি বা যেভাবে ভেজে নেওয়ার কথা বলছি ঠিক সেরকম হয়ে যাবে। এর থেকে বেশি সময় ধরে মাংসটা ভাজলে মাংসটা অনেক শক্ত হয়ে যাবে, যার ফলে মাংসটা খাওয়ার সময় কামড় দিলে ভেতরের অংশ সাদা হয়ে থাকবে এবং কাঙ্খিত স্বাদ পাওয়া যাবে না তাই আমি যে নিয়মে বলেছি সেই নিয়মেই ভেজে নিতে হবে।
মাংসটা ভেজে নেয়ার পর পরের স্টেপ এর জন্য উপকরণঃ
- ২টি তেজপাতা কেটে চার ভাগ করে নিতে হবে
- ২ টুকরা দারুচিনি
- ৯ টি গোলমরিচ
- ৫ টি এলাচ মুখ ফাটিয়ে নেয়া
- ৩ টি লবঙ্গ
- ১/২ কাপ পেয়াজ কুচি
- আগের সেই তেলে মাংস ভেজে নিয়েছিলেন সেই তেল
উল্লেখিত উপকরণ গুলো দিয়ে ভালোভাবে পেঁয়াজ কুচি গুলো ভেজে নিতে হবে। ভেজে নেয়ার সময় পেঁয়াজ কুচি গুলোর রং যখন হালকা বাদামি হবে, তখন এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ পেঁয়াজ বাটা, এক টেবিল চামচ রসুন বাটা এবং এক টেবিল চামচ আদা বাটা দিয়ে খুব ভালোভাবে মশলা টাকে কষিয়ে নিতে হবে।
বাটা মশলা গুলোর কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত তাপ কমিয়ে সময় নিয়ে মসলাটাকে কষিয়ে নিতে হবে। যে পর্যায়ে এসে ভাজা একটা ঘ্রাণ বের হবে ঠিক সে সময়, আগে থেকেই যে গুড়া মশলাটা ভিজিয়ে রেখেছিলেন সে মসলাটা এর মধ্যে দিয়ে আবারো ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। মসলাটা যেন পুড়ে না যায়
-সেজন্য সেই বাটিটা ধুয়ে পানি দিয়ে আবারো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। আর এই পুরো কাজটাই একদম কম তাপে করে নিতে হবে, মসলাটা যদি পুড়ে যায় তাহলে মাংসের কোন ধরনের স্বাদ পাওয়া যাবে না। সেজন্য খুব খেয়াল রেখে কাজটা করতে হবে কষানোর এক পর্যায়ে মাংসগুলো থেকে যখন তেল
-আলাদাহতে শুরু করবে, ঠিক সেই সময় ভাজা মাংসগুলো এর মধ্যে দিয়ে দিতে হবে। তারপর মাংসটাকে মসলার সাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে দিয়ে মেশাতে হবে, মাংসটাকে মসলার সাথে আরো সাড়ে তিন মিনিট মতো কষানোর পর তারপর এরমধ্যে সাড়ে তিন কাপ পরিমাণে ফুটন্ত গরম পানি দিতে হবে।
ফুটন্ত গরম পানির দেয়ার পর থেকে মিডিয়াম তাপে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রান্না চালিয়ে যেতে হবে। আর এভাবে রান্না করে নিলে মাংসের ভেতর পর্যন্ত মসলা ঢুকবে এবং খুবই সফট হবে মাংস ভেঙে যাবে না এবং অনেক সুস্বাদু হবে। এবং মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে মাংসটা নেড়ে নিতে হবে এবং যেন নিচে লেগে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি যেভাবে নিয়মগুলো বলে দিয়েছি,সেই প্রসেস যদি মেন্টেন করতে পারেন তাহলে আপনার রান্নাটা অনেক সুস্বাদু হবে। এবং আশা করছি এভাবে একবার রান্না করলে আপনি বারবার রান্না করতে চাইবেন।
ব্রয়লারের মুরগির মাংসে গামাখা ঝোল টাই সবাই পছন্দ করে থাকে, আমি সেভাবেই রান্না করার টিপস গুলো দেখিয়ে দিয়েছি ,আশা করছি আপনাদের পছন্দ হবে।
আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্নার রেসিপি
বিভিন্নভাবে মুরগির মাংস রান্না করা হয়ে থাকে, আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করার রেসিপি টি এখন আপনাদের সাথে এ টু জেড আলোচনা করব। মুরগির মাংস খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, মুরগির মাংস বিভিন্ন উপায় রান্না করা হয়ে থাকে। এবং মুরগির অনেক ধরনের রেসিপি হয়ে থাকে, মসলার সঠিক ব্যবহার জানলে
-যদি আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করা হয় ,তাহলে এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করা খুব একটি কমন প্রসেস, যা আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জানানো হবে। এই নিয়মে আপনি আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে অনেকটা মুখরচক এবং টেস্টি হবে আশা করছি।
১ কেজি মুরগির মাংস রান্নার উপকরণ
১ কেজি মুরগির মাংস রান্না করার উপকরণ গুলো এখন আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। প্রতি এক কেজি মুরগির মাংস রান্না করার জন্য, যে উপকরণ গুলো আপনাদের প্রয়োজন হবে, সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো। অবশ্যই এটি দেশি মুরগি রান্না করার জন্য। আশা করছি এই টিপস গুলো অনেক কাজে আসবে।
আমাদের এই আইটেমটির নাম হচ্ছে আলু দিয়ে দেশি মুরগির ঝোল। সিম্পল কিছু ট্রিক্স অ্যান্ড টিপস ফলো করলেই আপনারা বাড়িতেই অসাধারণ এই রান্নাটি নিজেই সেরে নিতে পারবেন। মুরগিটাকে প্রথমে রেগুলার কাটিং করে কেটে নেবেন ২৫০ গ্রাম পরিমাণ আলু খোসা ছাড়িয়ে দুই ভাগ করে কেটে নেবেন।
১ কেজি মুরগির মাংস রান্নার উপকরণঃ
- কেটে নেওয়া আলু ২৫০ গ্রাম
- এক কাপ সরিষার তেল
- দুইটা বড় সাইজের তেজপাতা
- মিডিয়াম সাইজের দুইটা দারুচিনি
- সাদা এলাচ ৪টি
- লবঙ্গ ৫টি
- শুকনা মরিচ ৩টি
- দুইটা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচি
- পেঁয়াজ টাকে সামান্য ভেজে নেয়ার পর
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ
এখন এই মিক্সটাকে অল্প তাপে এই মিক্সটাকে এমন ভাবে নেড়েচেড়ে নিতে হবে যেন এর কাঁচা গন্ধটা দূর হয়ে যায়। মসলাটা ভুনার সুবিধার্থে এতে এক টেবিল চামচ লবণ যুক্ত করে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। পিয়াজ ভাজাটা যখন লালচে বর্ণ ধারণ করবে তারপরে এতে এক কেজি পরিমাণে মুরগির আগে থেকেই রেডি করে রাখা মাংস ঢেলে দিতে হবে ।
- আধা টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া
- ২ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়া
- আধা টেবিল চামচ জিরার গুঁড়া
- আধা টেবিল চামচ ধনিয়া গুড়া
৬ টেবিল চামচ পানি দিয়ে ,ভালো করে পেস্ট তৈরি করেনিন, এই মিশ্রণটি মাংসের মধ্যে ঢেলে দিন। তারপরে মসলার সাথে ভালো করে চিকেনটাকে মিক্স করে নিন এবং নাড়তে থাকুন। এখন হয়তো মনের মধ্যে প্রশ্ন থাকতে পারে যে কেন আমি মসলাটাকে গুলিয়ে এভাবে তারপর মিক্স করে ঢেলে দিতে বললাম, এর কারণটা হচ্ছে
-আমি যদি মসলা দেয়ার আগে তেলের মধ্যে মসলাটা দিয়ে দিতাম তাহলে চিকেন টা ভুলতে ভুলতে আস্তে আস্তে মসলাটা কালো হয়ে যেত, আর এর ফলে মাংসের ঝোলের কালারটাও কিন্তু কালো হয়ে যেত। তাই মাংসের ঝোলের কালারটা সুন্দর রাখতে আমি এই পদ্ধতিটা অবলম্বন করেছি। এবং আপনারাও করবেন
-মসলার বাটিটা ধুয়ে সামান্য পরিমাণ পানি মাংসের মধ্যে দিয়ে দিন।এরপর আরো ৫-৭ মিনিটের জন্য চিকেন তাকে ভূনে নিন তবে রান্নার সুবিধার্থে আপনারা কিন্তু এই মসলাটাকে আগে থেকেই পেস্ট বানিয়ে রাখতে পারেন। যেভাবে আপনার সুবিধা হয় আর কি এতে করে আপনাদের রান্নাটাও করতে সহজ হবে এবং গুড়া মশলার
-ফ্লেভারটা আরো ভালো হবে, ভুনা হয়ে গেলে মাংসটাকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। আর অপেক্ষা করতে থাকুন মাংসটা থেকে পানি ছাড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ থেকে ১২ মিনিট ধরে রান্না করতে থাকুন। তারপরে দেখবেন মাংসটা পানি ছেড়েছে আর মাংস থেকে যে পানিটা বের হয়েছে সেই পানিটাতেই মাংসটাকে কষিয়ে নিতে হবে।
আর মাংসটাকে ততক্ষণ পর্যন্ত কষাতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংসের পানিটা কমে আসে। রান্না করার পর্যায়ে যদি মাংস থেকে তেমন পানি না ছাড়ে তাহলে আপনারা বাড়তিভাবে সামান্য পরিমাণে পানি মাংসের সাথে অ্যাড করে তারপরে কষিয়ে নিতে পারেন। আর কিছুক্ষণ কষানোর পরে দেখবেন পানিটা কিন্তু প্রায় শুকিয়ে আসবে
-আর তেলটা উপরে ভেসে উঠবে এবং রান্নার শুরু থেকে পর্যন্ত ২৫ মিনিট পর্যন্ত রান্না করলেই, উপরে তেলটা ভেসে উঠবেএবং ২৫ মিনিট রান্না করার পর মাংসটা প্রায় ৪০% সেদ্ধ হয়ে যাবে। এবার এটাতে আগে থেকে কেটে রাখা আলুর টুকরো গুলো দিয়ে দিতে হবে। আর অবশ্যই আলুটা ধুয়ে পানিটা ঝরে যাবার পরেই আলুটা মাংসের
-ভেতরে দেবেন এবার আলুটাকেও মাংসের সাথে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে নিতে হবে।আলুটা কষানো হয়ে গেলে এবার এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে দিন।মাংস এবং আলু পুরোপুরি সেদ্ধ করতে যে পরিমাণ পানি দরকার সেই পরিমাণ পানি আন্দাজ করে এড করুন। মাংস আপনারা কতটুকু ঝোল খেতে চান, পানি দেয়ার সময় সেই
আরো পড়ুনঃ সুজির মালপোয়া বানানোর সহজ রেসিপি জেনে নিন
-ব্যাপারটিও খেয়াল রাখবেন। অর্থাৎ আপনারা যদি ঝোল কম খেতে চান তাহলে এখানে পানির পরিমাণ একটু কমিয়ে দিতে পারেন।এবার সবকিছুকে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আর এটাকে ততক্ষণ রান্না করুন যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংস এবং আলুটা পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছে ,আর এই সময় আপনারা চুলার তাপ টাকে
-লো আর মিডিয়ামের মাঝামাঝি রাখবেন। আর কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা তুলে মাংসটাকে সামান্য পরিমাণে নেড়েচেড়ে দেবেন। আর খেয়াল রাখবেন মাংসটা যেন পাতিলের তলায় লেগে পুড়ে না যায়, অর্থাৎ মাংসটা পুরোপুরি সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনাটা তুলে নেড়েচেড়ে দিতে হবে।
ততক্ষণে মাংসটা এদিকে সেদ্ধ হতে থাকুক, আর আমরা ওই দিকে মাংসটা টেস্টি করার জন্য আরো কিছু টিপস এড করে দিতে পারি। চলুন সে উপকরণগুলো জেনে নেয়াযাক, আলাদা একটি চুলায় ফ্রাইপ্যান বসিয়ে তাতে দিয়ে দিতে হবে এক টেবিল চামচ গোটা জিরা, সাদা এলাচ বা ছোট এলাচ ৪টা, সাথে পনেরোটা গোলমরিচ
-তারপরেই মসলা গুলোকে মিডিয়াম তাপে এক মিনিট সময় মতো ভেজে নিতে হবে।মসলাগুলো ভাজা হয়ে গেলে, সেগুলো নামিয়ে নেওয়ার পরে ঠান্ডা হলে যে কোন ভাবে এগুলোকে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবার চুলাতে রাখা মাংস এবং আলুর সিদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর এই মসলার গুঁড়াগুলো তার ভিতরে ঢেলে দিতে হবে।
এই স্পেশাল মসলার পুরোটা অ্যাড করার জন্য মানুষের ঝোলের টেস্ট অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং তার সাথে মাংসের স্বাদ তাও অন্যরকম হবে। আরো সুন্দর ফ্লেভারের জন্য পাঁচ ছয়টা কাঁচামরিচ তার ভিতরে এড করে দিতে পারেন। এতেকরে সুন্দর ফ্লেভার আসবে,তারপরে ঝোলটা একটু টেস্ট করে দেখবেন লবণ কমবেশি হয়েছে কিনা।
যদি কমবেশি হয়ে থাকে সেই অনুযায়ী এটাকে সারিয়ে নিতে হবে ।এবার মাংসটাকে শেষবারের মতো ঢেকে দিতে হবে আপনি যদি ঝোল একটু কম খেতে পছন্দ করেন তাহলে সেই অনুযায়ী রান্না করে নিতে হবে। শেষবারের মতো মাংসটা ঢেকে দেওয়ার পরে চুলার তাপটা একদম বন্ধ করে দিন
-তারপর এটাকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ মিনিট রাখুন। আর আপনারা কিন্তু মাংসটা রান্না করার সাথে সাথেই পরিবেশন করতে যাবেন না মাংসটা নামিয়ে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে তা পরিবেশন করতে পারেন, এতে করে মাংসের স্বাদ আরও বৃদ্ধি পাবে।
চুলা থেকে মাংসটার নামিয়ে নেয়ার ১০-১৫ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখলে কালারটা অনেক সুন্দর আসে ১৫ মিনিট পর এখন আপনি পরিবেশন করতে পারেন।
People also ask:
আলুর উপরে কাঁচা মুরগি রান্না করা যায়?
উত্তরঃ আলু দিয়ে কিভাবে মুরগির মাংস রান্না করতে হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্য দেয়া রয়েছে ,আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আলু ও মুরগির মাংস খাওয়া কি ভালো?
উত্তরঃহ্যাঁ অবশ্যই, সুস্থ এবং সবল আলু দিয়ে মুরগির মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মাংস রান্না করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃমাংস রান্না করার জন্য বেশ কিছু উপকরণ রয়েছে, যা আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,আশা করছি আজকের রেসিপি গুলো ট্রাই করলে, আপনি স্পেশাল ভাবে মুরগির মাংসের বিভিন্ন রকমের আইটেম বাড়িতেই রান্না করে পরিবেশন করতে পারবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটে এরকম তথ্যবহুল টিপস দেয়া হয়। আপনি নিয়মিত ভিজিট করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইল।