উপস্থাপনা । শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ । শরীরের গরম কমানোর উপায়
আরো পড়ুনঃ রুম ঠান্ডা রাখার সহজ উপায় জেনে নিন
শরীরের গরম কমানোর উপায়
পানি পান : প্রতি তরল বা তরল জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ঘরোয়াভাবে শরীরের তাপ ও পানি শূন্যতা কমাতে পারেন। আরো কিছু প্রতিকারের উপায় আছে যেমন আপনি হাত-পা মুখ চোখ একটু পরপর পানি দিয়ে ভেজানো আর আপনি যদি রোদে চলাচল করে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিছুক্ষণ পর পর এই সাধারণ পদ্ধতি অবলম্বনের কারণে শরীরে গরম কম অনুভূত হবে।
আরো পড়ুনঃ কোন কোম্পানির টেবিল ফ্যান সবচাইতে ভালো জানুন
সুতি পোশাক : শরীরের গরম কমানোর জন্য ঢিলেঢালা হালকা রঙের ও হালকা ওজনের সুতির পোশাক পোশাক পরিধান করতে পারেন আপনি যদি ছোট্ট পদ্ধতিটি অবলম্বন করে থাকেন এতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে তাপ কমে যাবে।
আর আপনি যদি উত্তপ্ত এই গরমের মধ্যেও অতির পোশাক না পড়ে অন্য কাপড়ের পোশাক পড়ে থাকেন সে ক্ষেত্রেও আপনাকে গরম বেশি লাগবে। সাথে সাদা এবং অন্যান্য হালকা রং পড়তে চেষ্টা করুন যা সূর্যালোক প্রতিফলিত করে তাপকে কমাতে সাহায্য করবে।
ফ্যানের ব্যবহার : আপনার শরীরে তাপমাত্রা কমাতে আপনি একটি ফ্যানের ব্যবহার করতে পারেন । একটি সুতির কাপড় পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন তারপর এই কাপড় দিয়ে আপনার পুরো শরীর মুছে নিন তাতে করে আপনার শরীরে ঠান্ডা অনুভব দিবে ।
আর যদি আপনার হাতে যথেষ্ট সময় থাকে তাহলে গোসল করে নিতে পারেন এবং বৈদ্যুতিক ফ্যানের আয়ত্তে থাকার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার শরীর যথেষ্ট ঠান্ডা অনুভব করবে যার ফলে আপনি স্বস্তি পাবেন।
শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ
আপনার শরীর যখন গরম হয়ে যাবে তখন আপনাকে অতিরিক্ত পরিমাণে ছোটাছুটি ব্যস্ততার কোনটাই করা যাবেনা। আজকে এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন যে শরীর গরম থাকার কারণ সম্পর্কে শরীল গরম থাকার কারণ দুইটি হয়ে থাকে যেমন একটি জ্বর ও অন্যটি হাই প্রেসার।
আরো পড়ুনঃ চার পাখা সিলিং ফ্যানের আজকের মূল্য জেনে নিন
আপনার শরীরের যখনই গরম হবে তখন আপনাকে থার্মোমিটার দিয়ে শরীরে তাপমাত্রা মেপে দেখাতে হবে যে আপনার শরীরে তাপমাত্রা কত এবং সেই তাপমাত্রা অনুযায়ী আপনার শরীর কতখানি জ্বর আছে। এটি আপনি বাড়িতেও করতে পারেন এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে থার্মোমিটারের এছাড়া আপনি ডাক্তারের দোকানে গিয়ে চেক করতে পারেন।
শরীর অতিরিক্ত গরম থাকার কারণ কি জ্বর নাকি অন্য কোন সমস্যা রয়েছে। যদি আপনার অতিরিক্ত শরীর গরম হয় এবং এই অবস্থায় মাথা ব্যথা চোখে ব্যথা ও কাঁপুনি হয়। তাহলে অবশ্যই আপনি একটি ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জ্বর মেপে দেখবেন এবং সেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন। আশা করি শরীর গরম থাকা লক্ষণ সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন।
অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়
অতিরিক্ত গরমে প্রায় সবারই অনেক অশান্তির মধ্যে রয়েছে গ্রীস্মের প্রথম দিকে গরম না বোঝা গেলেও কিন্তু এই বছর অতিরিক্ত গরম গ্রীস্মের প্রথম থেকেই এইবার ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা থাকার কারণে কিন্তু অনেকেরই হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করে জানাবো।
- বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
- শরিলে পানি শূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও পানীয় জাতীয় শরবত পান করতে হবে।
- পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করে বাইরে বের হতে হবে।
- গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তাজা জুস বানিয়ে পান করুন।
- প্রসাবের রং খেয়াল করুন প্রসাবের রঙ কারো হলে পানি শূন্যতার লক্ষণ।
- ত্বকের সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
- চেষ্টা করুন যেন দিনে কম বাইরে বের হতে হয়।
- উপরোক্ত এই সকল উপায়গুলো মেনে চললে আপনি অতিরিক্ত গরম থেকে একটু হলেও রেহাই পাবেন।
অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়
আপনারা কি জানেন অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হতে পারে তীব্র গরমের কারণে কিন্তু নানা রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে শরীরে বিভিন্ন রকমের সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো হিট স্ট্রোক। হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যায় প্রায় মানুষই ভুগছেন।
এছাড়াও প্রচন্ড গরমে জ্বর কাশি শ্বাসকষ্ট রোগ নিউমোনিয়া পানিবাহিত টাইফয়েড ও জন্ডিস এবং চর্মরোগ বা পুস্করির প্রকোপ অনেক বেড়ে গিয়েছে যার কারণে কিন্তু অতিরিক্ত গরমের ফলে এই সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের দ্রুত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে। অতিরিক্ত গরম হলে অবশ্যই নিজের শরীরের যত্ন বেশি বেশি নিতে হবে।
অতিরিক্ত গরমের কারণে যখন মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রকগুলো কর্মক্ষমতা কমে যায়। তখন ক্লান্তি মাথাব্যথা, জ্বর দেখা দেয় এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জন্য শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
আরেকটি লক্ষণ হলো পানি শূন্যতা। মানুষের শরীর থেকে যদি বেশি পরিমাণ তরল বেরিয়ে যায় অর্থাৎ গ্রহণ করাতে তরলের পরিমাণ বেশি বের হয় তাহলে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। শরীরে তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর চেয়ে বেশি হয় তখন হতে পারে একে গরম জনিত গুরুতর অসুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যে সমস্যাগুলো হয়ঃ
- দ্রুত হ্রদ স্পন্দন এবং দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়।
- বিভ্রান্তি এমন কিছু নিয়ম হতে পারে এলোমেলো আচরণ।
- ত্বকে ফুসকুড়ি অতিরিক্ত ঘাম /ঘুম না হওয়া।
- অবচেতন হয়ে যাওয়া।
- তিব্র মাথা ব্যাথা বমি বমি ভাব।
- মাংসপেশী দুর্বলতা হয়।
উপরোক্ত সকল লক্ষণগুলো যদি দেখা দেয় তাহলে বুঝতে পারবেন। অতিরিক্ত গরমের কারণে এই সকল সমস্যা আপনার দেখা দিচ্ছে। গরমে সময় অবশ্যই আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে এবং ঠান্ডা থাকা যায় এমন অবস্থায় থাকতে হবে।
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ
শরীরে অতিরিক্ত গরম লাগার কারণ সম্পর্কে আপনারা কি জানেন অতিরিক্ত গরম যখন তার ঘাম গ্রন্থি গুলোকে সক্রিয় করে তখন এই গ্রন্থিগুলো সেই পানি শরীরের লবণ এর সাথে ঘাম হিসেবে ত্বকের পৃষ্ঠে নিয়ে আসে। একবার পৃষ্ঠে পানি বাষ্পীয়ভূত হয় ত্বক থেকে বাষ্পীভূত পানি শরীরকে শীতল করে এর তাপমাত্রা একটি স্বাস্থ্যকর পরিসরে রাখে।
বিভিন্ন রকমের গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে যে, যাদের শরীরে বেশি ফ্যাট আছে তারা অন্যদের তুলনায় বেশি উষ্ণবোধ করতে পারে কারণ অতিরিক্ত ফ্যাট শরীরকে উত্তপ্ত করে যেহেতু এটি পোশাকের অতিরিক্ত স্তরের মতো কাজ করে কিছু পরিস্থিতিতে স্থূল এবং অতিরিক্ত ওজনের ব্যক্তিরা স্বাভাবিক ওজনের ব্যক্তিদের তুলনায় বেশি ঠান্ডা অনুভব করে।
এটি সংবহনতন্ত্রের কাজের সাথে সম্পর্কিত যখন আপনি গরম অনুভব করবেন তখন রক্তনালী গুলো প্রশস্ত হয়। যা রক্তকে তাদের মাধ্যমে প্রবাহিত করতে দেয় এবং ত্বকে পৌঁছাতে দেয় সেখান থেকে অতিরিক্ত তাপ নিগত হয়। কিন্তু যেহেতু ত্বকের নিচে ফ্যাট তাকে আটকে রাখে তাই এটি ত্বকের পৃষ্ঠকে শীতল করার সময় কোষগুলোকে উষ্ণ রাখে।
শরীরের আকার ও একটি কারণ হতে পারে যে কারণে কিছু ব্যক্তি অন্যদের তুলনায় গরম বা ঠান্ডা অনুভব করে। শরীর যত বড় হবে তা পুরো তত বেশি হবে তাই ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগবে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরের পেশির ভর কম থাকে যে কারণে ত্বকে ছিদ্রগুলো থেকে কম তাপ উৎপন্ন হয়,
ফলে তারা পুরুষদের তুলনায় বেশি ঠান্ডা অনুভব করে। মেনোপজের নারীরা পুরুষের তুলনায় উষ্ণ বোধ করতে পারে এটি পেশীর ভর তৈরির কারণে নয় বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়।
হঠাৎ শরীর গরম হওয়ার কারন কি
প্রায় অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দেয় হঠাৎ শরীর গরম হয়ে যায় আসলে আপনারা কি জানেন হঠাৎ শরীর গরম হওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কে। হঠাৎ যেন শরীর গরম কান মাথা দিয়ে আগুন বের হচ্ছে এরকম অনুভূতি অনেকেরই হয়েছে, পিত্তের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে এমনটা দেখা দিতে পারে।
শরীরে অস্থির অস্থির লাগে অনেক সময় আবার মারাত্মক রেগেও যায় কারো ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি দেখা দেয়। মুখে আলসার কিংবা তা ফোড়া হতেও দেখা দিয়েছে এইসব পিত্ত দোষ।
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা গুলো দেখে নিন
কাজের মধ্যে হঠাৎ প্রচন্ড গরম লেগে ঘেমে অস্থির হয়ে যায় এবং নারীরা এই সমস্যার নাম হট ফ্লাশ। মেনোপেজ বা মাসিক বন্ধ হওয়ার কয়েক বছর আগে থেকে মেয়েদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারীদের দিনে ৫ থেকে ১০ বার আকষমিক হট ফ্লাশ হতে পারে এর বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেতে হবে।
এই সমস্যা দেখা দিলে আপনারা যা করতে পারেনঃ
- হালকা রঙের পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পড়ে বাইরে যাবেন। ভারী কাপড় অতিরিক্ত মেকাপ লাগার কারণে আরো গরম বাড়তে পারে।
- চা-কফি সুরসহ গরম ও মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন শীতল ও কম তেল মশলার খাবার খান প্রচুর সালাদ ও সবজি শাক খান।
- খুব গরম লাগছে একটু বরফ মুখে নিয়ে হতে পারেন তবে কোমল পানীয় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
- অফিসে কিংবা বাড়িতে কাজের সময় খোলামেলা বাতাসযুক্ত জায়গা বা ফ্যানের নিচে বসুন।
- ছোলার,সয়া, কলিজিরা, ডাল জাতীয় খাবার প্রাকৃতিক ফাইটো সইস্ট্রোজেন আছে। এগুলো খেলে একটু উপকার পাওয়া যায় তুলসী চা পান করাও আরামদায়ক হতে পারে।
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ এড়ানোর চেষ্টা করুন এক্ষেত্রে যোগব্যায়াম মেডিটেশন কার্যকারী।
- নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শে হরমোন সাপ্লিমেন্ট অ্যান্টি ডিসিপ্লিন জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারবেন তবে এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে অনেক তার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো কেমন করা যাবে না।
শরীর গরম হলে করনীয়
প্রচন্ড গরমে এমনিতে শরীরে প্রচুর তাপ উৎপাদন হয় খাবার থেকে যে বিপাক জনিত তাপ উৎপন্ন হওয়ার কথা তার প্রয়োজন আর অনুভূত হয় না। শরীরে তাপ উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার জন্য খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায় তাছাড়া এই সময় আমরা প্রচুর পরিমাণে পানি পান করি বলে ক্ষুধা ও মরে যেতে থাকে কিন্তু গরমের সঙ্গে লড়াই করতে হলে দরকার প্রচুর শক্তি না হলে সারাদিনের পরিশ্রম ও দুর্বলতা আরো বেশি বেড়ে যাবে ।
আরো পড়ুনঃ ভিসন চার্জার ফ্যানের মূল্য তালিকা দেখে নিন
পানি: সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। মনে রাখবেন এই গরমে তাপমাত্রা যখন ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি ফরেনহাইট করছে। তখন শরীরে প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে আড়াই লিটার পানি হারাচ্ছেন। পানি শূন্যতার জন্য সব সময় ঘাম হবে তা নয় ঘাম ছাড়াও উচ্চমাত্রায় ত্বক এমনিতে পানি হারাতে থাকে যাকে বলে ইনসেনসিবল লস।
এই পানির ঘাটটি পূরণ করতে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার বা ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানির অভাব পূরণ করতে পানি সবচেয়ে উত্তম হতে পানীয় জাতীয় সকল খাবার যেমন ফলের রস, জুস,ডাবের পানি, স্মুদি ইত্যাদি পান করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় জেনে নিন
ফলমূল: অনেক রকম ফল পানি শূন্যতা দূর করতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এই জন্য আমাদের পানি চাহিদার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পূরণ করে খাবার। এই গরমে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যাতে জলীয় অংশ বেশি যেমন শসা, লাউ ইত্যাদি। শশা দিয়ে শুধু পানি শূন্যতা দূর করে তাই নয় শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে এই সময় শসা আস্ত কেটে সালাত করে বা জুস করে খেতে পারেন।
তরমুজ বাঙ্গি জাতীয় ফলে প্রায় ৭০ শতাংশ যদিও অংশ থাকার কারণে এগুলো খেলে পানির সঙ্গে বাড়তি পুষ্টি হিসেবে পাবেন পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন বি যা আপনাকে শক্তি যোগাবে। সবুজ শাকসবজি গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে যেমন পালং শাক, পুঁইশাক, পুদিনা, লেটুস পাতা, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি। এ সময় দুপুরে বা রাতের খাবার সালাদ অবশ্যই রাখবেন।
লেবু খাবারের সঙ্গে লেবুর পানি হিসেবে বা সালাতের মধ্যে দিয়ে খেতে পারেন লেবুর ভিটামিন সি এই গরমে ত্বকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে তার সাথে এটাও মনে রাখবেন যে পানি শূন্যতা পূরণ করার জন্য এবং রোদ থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে সিজনাল ফলমূল খেতে হবে সেটা যে কোন ফলমূল হতে পারে গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায় এমন সব ফলমূল বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
প্রোটিন : শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে যে সকল খাবার তার মধ্যে অন্যতম হলো দই, টক দই, দইয়ের তৈরি খাবার ইত্যাদি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। পানি শূন্যতা পূরণ করার পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
এছাড়াও এগুলো শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায় এবং হজম করায় গরমে শর্করা বা চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন করে তাই এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়াও আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন নানা ধরনের সবজি যেমন লাউ, চাল কুমড়া, কাঁচা কলা, পটলের ঝোল দিয়ে রান্না করলে এ জাতীয় খাবারে জলীয় অংশ বাড়বে শরীর ঠান্ডা থাকবে তাই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন জলীয় অংশ যুক্ত এই সবজি গুলো।
FAQ । শরীর গরম থাকা কিসের লক্ষণ । শরীরের গরম কমানোর উপায়
কি খেলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়?
অতিরিক্ত গরমে চিনি জাতীয় খাবার চা, কফি এ ধরনের পানীয় পান করার কারণে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে তাই আপনি যদি প্রচুর গরম অনুভব করেন সেক্ষেত্রে চা, কফি জাতীয় পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং মধু একটি অত্যন্ত উপকার, খাবার কিন্তু আপনি এটি আপনার শরীর যদি প্রচুর গরম অনুভূত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
মেয়েদের শরীর সবসময় গরম থাকে কেন?
একজন সুস্থ পুরুষের তুলনায় একজন সুস্থ নারীর শরীরের পেশীর ভর কম থাকার কারণে ত্বকের ছিদ্র গুলো থেকে কম তাপ উৎপন্ন হয়, যার ফলে একজন সুস্থ স্বাভাবিক পুরুষের তুলনায় একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারীর বেশি ঠান্ডা অনুভব করতে পারেন। তবে এটি ভয়ের কোন কারণ নেই বিশেষজ্ঞদের মতে সুনির্দিষ্ট হরমোনের পরিবর্তনের ফলেই এরকম হয়ে থাকে।
একজন মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?
একজন এখন সুস্থ সবল স্বাভাবিক মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দেহের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে মানুষ কি কি করে?
আবহাওয়া এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে, মাঝেমধ্যে তা তা অসহনীয় হয়ে ওঠে আর এই তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের শরীর গরম হয়ে যায়। যার ফলে রক্তনালী গুলো খুলে যায়।এতে করে রক্তচাপ কমে যায় যার কারণে সারা শরীরে রক্ত চলাচল করানোর হৃদপিন্ডের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রাথমিক উপায়ে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ।