স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে যারা খাদ্য নিয়ে বেশি সচেতন, তারা জানতে চাই এবং স্বাস্থ্যকর খাবার কি দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে?বিশ্বের সবচেয়ে পুষ্টিকর কিন্তু সহজলভ্য খাবার গুলোর পুষ্টিগুণ অনেকেরই হয়তো জানা নেই। আমাদের শারীরিক সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে সে বিষয়গুলো আমাদের জেনে থাকা অত্যন্ত জরুরী।
সহজলভ্য এবং এই খাবার গুলোতে পুষ্টির পরিমাণ জানলে অনেকেই হয়তো অবাক হতে পারেন এবং এগুলো জেনে থাকলে আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো চিনতে অনেক সুবিধা হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভূমিকা । স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে – 31 healthy foods List
প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা গুলো আপনাদের বিস্তারিত জানাবো। শারীরিক সুস্থতার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আর তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার এর তালিকা গুলো জেনে রাখাও অত্যন্ত জরুরী।
স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে
স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে সে বিষয়ে আজকে আমরা পরিষ্কার ধারণা পেয়ে যাব বিশ্বের ১০০০ টি খাবারের তালিকা থেকে সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে এমন ১০০ টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা
-করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। আজকে আমরা ১০০ টি স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকার মধ্য থেকে বাছাইকৃত কয়েকটি স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা লিস্ট আকারে বর্ণনা করছি। এবং এর পুষ্টিগুণ এর
-ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকাটি নিম্নের লিস্ট আকারে বর্ণনা করা হলো।
- অ্যামন্ড ও আখরোট
- আতাফল
- সামুদ্রিক কই বা পোয়া মাছ
- কড মাছ
- নীল পাখনার টুনা মাছ
- বিভিন্ন ধরনের স্যালমন ফিস
- ইল মাছ
- সামুদ্রিক চিতল বা ফ্ল্যাট ফিস
- চিয়া সিড বা তিসি বিজ
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও মিষ্টি কুমড়া
- শুকনো ধনিয়া পাতার গুড়ো ও তাজা ধনিয়া পাতা
- মটরশুঁটি
- বরবটি
- শিমের বীজ
- পেঁয়াজের পাতা এবং পেঁয়াজ
- সব ধরনের বাঁধাকপি লাল ও সবুজ বাঁধাকপি
- হিমায়িত পালং শাক এবংতাজা পালংশাক
- কাঁচামরিচ এবং পাকা মরিচ
- পুদিনা পাতা
- সরিষার শাক
- টমেটো কাঁচা এবং পাকা
- ডালিম এবং বেদেনা
- আদা
- ডুমুর
- মিষ্টি আলু
- শুকনা খেজুর
- গাজর
- কচু শাক
- ফুলকপি
- ব্রোকলি
- কমলা এবং কমলা লেবু জাতীয় ফল
স্বাস্থ্যকর খাবারের উপকারিতা
খাবার খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যকর খাবার গুলোর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আদর্শ খাবার বলতে কি কিছু আছে?বা এমন কোন খাবার আছে যা খেলে আমাদের সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়? এমন কোন খাবার আসলে নেই। তবে কিছু খাবার রয়েছে
-যা এত বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ যে এগুলোকে ব্যালান্স ফুড বলা হয়, অর্থাৎ এগুলো আমাদের শরীরের বেশিরভাগ পুষ্টির যোগান দিতে সক্ষম বিশ্বের ১০০০ টি খাবারের মধ্য থেকে
আরো পড়ুনঃ মিল্কশেক খাওয়ার উপকারিতা
-সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে এমন ১০০ টি খাবারের তালিকা করেছেন যুক্তরাজ্যের গবেষকরা। আজকের আর্টিকেলে প্রকাশ করা হচ্ছে এমন কিছু খাবারের তালিকা।অ্যামন্ড ও আখরোট এই দুই ধরনের বাদাম প্রাধান্য পেয়েছে সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর ১০০ টি খাবারের তালিকায়। শীর্ষে রয়েছে অ্যামন্ড ফ্যাটি এসিডের সবচেয়ে
-ভালো উৎস এটি হার্ট ভালো রাখতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুলনা নেই। তালিকা শীর্ষে দ্বিতীয় ফলটি হল আতাফল, এতে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, ভিটামিন,এ, সি,বি ১, বি ২ এবং পটাশিয়াম। তারপরে রয়েছে সামুদ্রিক কই বা পোয়া মাছ, কড মাছ,নীল পাখনার টুনা মাছ বিভিন্ন ধরনের স্যালমন ,ইল, সামুদ্রিক চিতল বা ফ্ল্যাট ফিস পুষ্টি গুণের জন্য
আরো পড়ুনঃ দুর্গন্ধ দূর করার ১৫টি উপায়
-এই তালিকার স্থান করে নিয়েছে।সবচেয়ে উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম চিয়া সিড বা তিসি বিজে,বিভিন্ন ধরনের ডায়েটারি ফাইবার প্রোটিন ভিটামিন লিনোলেনিক এসিড ও ফেনোলিক এসিড রয়েছে এতে। মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও মিষ্টি কুমড়া আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস কাঁচা কিংবা পাকা যেটিই হোক বা যে
-জাতেরই হোক না কেন মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিগুণের কোন তুলনা নেই। শুকনো ধনিয়া পাতার গুড়ো ও তাজা ধনিয়া পাতা কিংবা এর ডাটা পুরো গুল্মটিই আসলে পুষ্টিগুণে ভরপুর এতে থাকে ক্যারোটিনয়ের যা হজমের সমস্যা কাশি বুকের ব্যথা এবং জ্বর উপশম এ সাহায্য করে।মটরশুঁটি ও বরবটি স্থান করে নিয়েছে এই তালিকায় এতে থাকা
-প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট ফাইবার মিনারেল এবং দ্রবণীয় ভিটামিন রয়েছে মটরশুঁটিতে বরবটি একটি সবজি এবং এর বীজ ও ডাল সবকিছুতেই রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুরউচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন রয়েছে এতে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতের বা ধরনের শিমের বীজের কথা উঠে এসেছে এই তালিকায় পাতা সহ বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ
-ডগা সহ ফুলে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে বিশেষ করে ভিটামিন A এবং K এর ভালো উৎস এটি এছাড়া পেয়াজ পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। সব ধরনের বাঁধাকপি লাল ও সবুজ বাঁধাকপি পুষ্টিগুণে ভরপুর তবে লাল বাঁধাকপিতে পুষ্টিগুণবেশি থাকে এছাড়াও রয়েছে চাইনিজ বাঁধাকপি যা একটু লম্বাটে ধরনের হয় এতে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম
-থাকে।হিমায়িত পালং শাক মূলত সালাত তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এটিতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম ফলেট ভিটামিন এ বেটাক্যারোটিন জিজ্যানথিন এর ভালো উৎস, ফ্রিজিং করা বা হিমায়িত পালং শাক পুষ্টি রোধ হওয়া দূর করে এবং ধরে রাখে আর এজন্যই তাজা পালং শাকের তুলনায় এতে বেশি পুষ্টিগুণ থাকে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
তবে তাজা পালং শাক পুষ্টিগুণেও কম যায় না তাজা পালং শাকে ভিটামিন এ ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং আয়রন থাকে প্রচুর পরিমাণে এতে এতই ভালো পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে যে ১০০ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের তালিকায় দুইবার করে উঠে এসেছে এর নাম। মরিচের গুড়তে বিভিন্ন ধরনের ফাইটো কেমিক্যাল যেমন ভিটামিন C ভিটামিন E এবং
-ভিটামিন A থাকে আর সেই সাথে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফেনলিক উপাদান এবং কেরোটিনওয়েটেস। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মরিচ যেমন এয়ালাপিনো কাঁচামরিচ সবকিছুতেই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত পুষ্টিগুণ। পুদিনা গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ যা মূলত হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সহায়তা করে, এতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং আন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
সরিষার শাক এর মধ্যে সীনিগ্রীন নামের এক ধরনের উপাদান থাকে যা যেকোনো ধরনের প্রদাহ দূর করে। লেটুস পাতা বাটার লেটুস বা গ্রিন লেটুস যেটি হোক না কেন পুষ্টিগুণে ভরপুর লেটুস পাতা যত তাজা তত পুষ্টিগুণ থাকে এতে। কলা বিভিন্ন জাতের কলায় রয়েছে আন্টি অক্সিডেন্ট এন্টিমাইক্রোবায়াল এবং ডায়াবেটিক প্রতিরোধী উপাদান যার স্বাস্থ্যের
-জন্য খুবই ভালো। টমেটো কাঁচা এবং পাকা দুই ধরনের টমেটোতে প্রচুর পুষ্টিগুণ সম্পন্ন পাকা টমেটো এতে রয়েছে ফলিড পটাশিয়াম ভিটামিন C এবং E তবে পাকা টমেটো তুলনায় কাঁচা টমেটোই বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ডালিমে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্থোসায়ানিন
-অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর উৎস রয়েছে এছাড়া প্রদাহ রোধী উপাদান রয়েছে এই ফলটিতে। বিশ্বের শীর্ষ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় আরো রয়েছে আদা ,ডুমুর, মিষ্টি আলু, শুকনা খেজুর, গাজর, কচু শাক, ফুলকপি, ব্রোকলি, কমলা এবং কমলা লেবু জাতীয় ফল।
অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা – List of 11 Unhealthy Foods
দেখে স্বাস্থ্যকর মনে হলেও অস্বাস্থ্যকর খাবার যেগুলো অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা আকারে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি। এই খাবারগুলো অতিরিক্ত খেলে আপনার শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা জেনে থাকা আমাদের প্রয়োজন অনেক কিছু অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা নিম্নে লিস্ট আকারে বর্ণিত হলঃ
- কেক এবং বিস্কুট
- ফাস্টফুড
- গরম চিপস
- বার্গার
- পিৎজা
- চকলেট
- মিষ্টি
- প্রক্রিয়াজাতকরণ মাংস (যেমন ব্রোকেন)
- স্ন্যাকস(যেমন চিপস)
- চিনি যুক্ত পানীয় (যেমন কোমল পানীয়)
- মদ্যপ পানীয
বেশি ভাজা ও তেলযুক্ত খাবার পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর কেন
আসুন এবার আমরা জানবো বেশি ভাজা ও তেল যুক্ত খাবার পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর কেন? আমরা অনেকেই ভাজাপোড়া খেতে অনেক পছন্দ করি, যেমন আলুর চপ বেগুনি পেঁয়াজু তেলে ভাজা খাবার ইত্যাদি।
-এগুলো খাওয়ার কতটা ক্ষতি কর এগুলো হয়তো অনেকেই জানি, কিন্তু জানার পরেও অনেকেই তা খেয়ে থাকে। এগুলো আপনার শরীরে কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়গুলো আজকে জানাবো।
হোটেল কিংবা রেস্টুরেন্টে এগুলো যখন ভাজা হয়, তখন একই তেল ব্যবহার করে অনেকগুলো রাউন্ড করে ভাজা হয় অনেক সময় দেখা যায় কয়েক ঘন্টা ধরে একই তেল ফুটতে থাকে। তেল যখন বেশি তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ ধরে ফুটতে থাকে তখন এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি এসিড ট্রান্সফরন্ট হয়ে যায় তখন এটি ট্রান্সফ্যাটি এসিডে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
তখন এটিকে বলা হয় ট্রান্স ফ্যাট, এখন আলোচনা করা যাক এই ট্রান্স ফ্ল্যাট আমাদের শরীরের কোন কোন অর্গানগুলোকে ড্যামেজ করতে পারে এবং এটি কীভাবে কাজ করে। অনেকগুলো ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা যায় ট্রান্স ফ্যাট খেয়ে থাকেন তাদের শরীরে L.T.L কোলেস্টরেল অর্থাৎ খারাপ কোলেস্টরেল সেটার পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যায়।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি কোলেস্টরলের কয়েকটি টাইপ আছে, তার মধ্যে হাইডেনসেটি নিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল যেটা ভালো কোলেস্টরেল বলা হয়। আর লোডেনসিটি নিপোপ্রোটিন এটাকে বলা হয় খারাপ কোলেস্টরেল, কারণ এই লোডেনসিটি নিপোপ্রোটিন কোলেস্টরেল আমাদের হার্টের যে সমস্ত রক্তনালিকা আছে।
এই রক্তনালিকার গায়ে লেগে যেতে পারে এবং রক্ত চলাচলের পথকে ছোট করে দেয়। যার ফলে এই জায়গা থেকে হার্টের আরো আরো রোগ বালাইয়ের সূচনা হতে পারে ২৯ জন মানুষের উপর একটা গবেষণা করা হয় তাদেরকে এক মাস ধরে ট্রান্সফ্যাট খেতে দেওয়া হয়। একমাস পরে দেখা যায় তাদের শরীরে ভালো কোলেস্টরেলের
-পরিমাণ কমে যায় ২১% হারে। এবং তাদের মধ্যে রক্তনালিকার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় ।তাহলে বোঝা গেল মাত্র একমাস ট্রান্স ফ্ল্যাট খাওয়াতেই এত বড় বড় সমস্যাগুলো তৈরি হলো। খারাপ কোলেস্টেরল হল নো ডেন্সিটি মানে ওর ডেন্সিটি কম খারাপ কলেস্টরের যখন রক্তনালী দিয়ে যায় তখন ওর বেশি সম্ভাবনা থাকে রক্তনালীতে আটকে যাওয়ার।
আর যেটা হাইডেনসিটি মানে ভালো কোলেস্টরেল বলা হয় যেটাকে সে যখন রক্তনালী দিয়ে যায় তখন তার রক্তনালীতে আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে এবং লোডেনসিটি কোলেস্টরেল রক্তনালিতে আটকে গিয়ে থাকলে, হাইডেনসিটি বা ভালো কোলেস্টেরল লোডেনসিটি কোলেস্টরেল কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
যার ফলে হাইডেন সিটি কোলেস্টরেল রক্তে বেশি পরিমাণে থাকলে এই লোডেনসিটি কোলেস্টরেল কে সরিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে। ফলে কি হয় এই লোডেন সিটি কোলেস্টেরল গুলো রক্তনালীতে জমে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। ইনসুলিন রেজিস্টেন্স বা ডাইবেটিসের সাথে এই ট্রান্সফ্যাটের কি সম্পর্ক? ২০০১ সালে ৮০ হাজার মানুষের ওপরে
-এক গবেষণায় দেখা যায় যারা, ট্রান্সফ্যাট খেয়েছিলেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় 40%। একটি গবেষণায় ইঁদুরদেরকে বিভিন্ন দলে ভাগ করে একটি দলকে ট্রান্সফ্যাট জাতীয় খাবার দেওয়া হয়। এই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে ইঁদুরগুলোকে ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার দেওয়া হয়েছিল,সেই ইঁদুরগুলোর মধ্যে গ্লুকোজ
-টলারেন্স সিগনিফিকালি ভাবে কমে গিয়েছিল। তার মানে হল ডায়াবেটিসের রিস্ক অনেক বেড়ে গেল এবং তার সাথে সাথে এদের লিভারের চর্বি জমে গেল এছাড়াও আরো অনেক অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ট্রান্সফ্যাট কিভাবে ইনসুলিন রেজিস্টাট করে এবং ডায়াবেটিসের রিস্ক বাড়িয়ে দেয়।এছাড়াও ট্রান্সফ্যাট জাতীয় খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ
-বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। একটি গবেষণায় দেখা যায় যারা খাবারে বেশি পরিমাণ ট্রান্সফ্যাট খেয়ে থাকেন তাদের কোলন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায় 50% হারে। তারপরেও যে নরমাল সমস্যাগুলো হয়ে থাকে এই খাবারগুলো খাওয়ার পরে বুক জ্বালাপোড়া করা এসিডিটি এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।
তা থেকেই বোঝা যায় এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর তাই আমরা এই জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করব। এগুলো খারাপ অভ্যাস পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে গুরুত্ব দেয়া সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল, তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আমাদের সকলেরই উচিত।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
আমি আজকে আপনাদের দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে সেই খাবারগুলোর সম্পর্কে আপনাদের জানাবো পৃথিবীতে নানা ধরনের মানুষ আছে অনেকেই আছে ওজন কমাতে চান আবার অনেকেই আছে তাদের ওজন বাড়াতে চাই।
দ্রুত ওজন বাড়ে কোন খাবার খেলে আজকে আমরা সেই খাবারগুলো নিয়ে আলোচনা করব। দেখা যায় যে প্রতিনিয়ত যে খাবারগুলো স্বাভাবিক মানুষ খায় সে খাবার গুলোই অনেকেই খাওয়ার পরেও কাঙ্খিত যে ওজন
-সে ওজন বাড়ছে না। আপনি আন্ডার ওয়েট কিনা সেটা জেনে নেওয়া অনেক প্রয়োজন, আপনার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী আপনার যে ওজন থাকা দরকার সেটা যদি না থাকে তাহলে আপনি বুঝবেন আপনার ওজনটা এখন একটু বাড়ানো দরকার। আবার অনেকেই কিন্তু চান যে একটু স্বাস্থ্যসম্মত দেখা যাক তাকে আরো একটু মোটা দেখা যাক
-তাহলে দেখতে একটু সুন্দর দেখাবে তার জন্য ওজন বাড়াতে চান। তাদের জন্য কথা হচ্ছে এই ওজন বাড়াতে গিয়ে আপনি যদি মনে করেন যে বেশি বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে আপনি মোটা হবেন, অনেকেই বলে থাকেন যে আলু বেশি খেলে মোটা হয় আবার ভাত বেশি বেশি খেলেও মোটা হবে এরকম ধারণা আমাদের সমাজের প্রচলিত আছে
-এটা থেকে কিন্তু আপনাদের ফ্যাটি জমবে এবং মেদ বেড়ে যাবে কিন্তু পর্যাপ্ত মাসেল বিল্ড আপ হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটা কিন্তু হবেনা। তাই আপনার খাবারে দুটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে সেটা হচ্ছে খাবার ক্যালরি যতটুকু দরকার তার চেয়ে একটু বাড়িয়ে নিবেন আর আপনার খাবারের কম্পনেন্ট বা নিউটেন্ট গুলো ঠিক আছে কিনা
-সেদিকে খেয়াল রাখবেন। প্রতিদিন আপনার খাদ্য তালিকায় দুধ,ডিম,বাদাম,কলা,নারিকেল স্বাভাবিক নিয়মে তিন বেলা ভাত খাওয়ার পর বাড়তি খাবার হিসেবে এগুলো রাখতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে বাড়তি খাবার হিসেবে দুধ অথবা দুধ দিয়ে তৈরি খাবারগুলো খেতে পারেন এবং আপনি মিল্কশেক বানিয়েও খেতে পারেন।
দুধ এবং কলা একসাথে মিশ্রিত করে খেতে পারেন। দুধ এবং কলা আলাদা আলাদা করে খেলে আপনার ক্যালোরি কমে যাবে কিন্তু আপনি যদি দুধ এবং কলা মিশ্রিত করে একসাথে খান তাহলে আপনার ওজন বাড়বে। আরেকটি হচ্ছে ম্যাংগো জুস ম্যাংগো জুস এর সাথে নারিকেল মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার ওজন বাড়তে সহায়তা করবে।
রাতের বেলা স্বাভাবিক নিয়মে খাবার পরে রাত আটটা অথবা নয়টার দিকে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে পারেন, যেমন সেমাই, সুজি ,সাবু পুডিং, ডিম এবং দুধ। আলাদা করে খেলে যতটুকু ওজন বাড়তে সহায়তা করে তার চেয়ে দুধ এবং ডিম একসাথে পুডিং করে খেলে তার ওজন বাড়াতে
-অনেক বেশি সহায়ক হবে। তাই এই ধরনের মিক্স খাবারগুলো খেলেই কিন্তু আপনি আপনার কাঙ্খিত শারীরিক ওজন আরো বেশি ওজন বাড়িয়ে নিতে পারবেন এবং নিজেকে সুস্থ এবং হেলদি দেখাবে এই টিপসটি ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই কার্যকর।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
আমাদের দেশে অনেকেই আছে যারা জানতে চায় কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে? ডাক্তার যখন কোন রোগীকে ভিটামিন ভিটামিন প্রেসক্রাইব করে, তখন রোগীরা বলে যে ডাক্তার সাহেব আমার পর্যন্ত বেশি ভিটামিন খেলে তো আমার আর ওজন বেড়ে যাবে বা মোটা হয়ে যাবো?
Dr. Gulzar বলেন ভিটামিন খেলে আসলে ওজন বাড়ে না আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে যে ভিটামিন অথবা ক্যালসিয়াম খেলে ওজন বেড়ে যায়।
আসলেএ কথার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, আসলে ভিটামিন ওজন বাড়ার কাজ করে না ভিটামিনের সেই ক্ষমতাও নেই। ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমরা যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খায় সেই কারণে ওজন বাড়ে অতিরিক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরের ফ্যাট হিসেবে জমা হয় এবং ওজন বাড়ানোর জন্য কাজ করে।
এছাড়াও আমরা যে ফ্যাট বা স্নেহ পদার্থ জাতীয় খাবার খায় সে কারণেও ওজন বেড়ে যাই। তবে ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং সুগার কনশান্টটেড কার্বোহাইড্রেট বা ঘনাইত শর্করা। এগুলো আমাদের শরীরের ওজন বাড়ায় ভিটামিন মূলত আমাদের শরীরে যে ক্রিয়া বিক্রিয়া গুলো হয়
-সেই ক্রিয়া বিক্রিয়া গুলোর সহায়ক হিসেবে কাজ করে। ভিটামিনের কাজ হচ্ছে সেই বিক্রিয়া গুলোকে স্বাভাবিকভাবে ঘটতে দেয়া ভিটামিন কোনভাবেই শরীরে চর্বি বাড়ানো বা ওজন বাড়াতে পারে না কিন্তু কিছু কিছু ভিটামিন আছে যেগুলোর অভাব শরীরে দেখা দিলে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে বা
FAQ । স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে – 31 healthy foods List
স্বাস্থ্যকর খাবার কি?
- সামুদ্রিক চিতল বা ফ্ল্যাট ফিস
- চিয়া সিড বা তিসি বিজ
- মিষ্টি কুমড়ার বীজ ও মিষ্টি কুমড়া
- শুকনো ধনিয়া পাতার গুড়ো ও তাজা ধনিয়া পাতা
- মটরশুঁটি
- বরবটি
- শিমের বীজ
- পেঁয়াজের পাতা এবং পেঁয়াজ
- সব ধরনের বাঁধাকপি লাল ও সবুজ বাঁধাকপি
- হিমায়িত পালং শাক এবংতাজা পালংশাক
- কাঁচামরিচ এবং পাকা মরিচ
- পুদিনা পাতা
- সরিষার শাক
- টমেটো কাঁচা এবং পাকা
- ডালিম এবং বেদেনা
- আদা
- ডুমুর
- মিষ্টি আলু
- শুকনা খেজুর
- গাজর
- কচু শাক
- ফুলকপি
- ব্রোকলি
- কমলা এবং কমলা লেবু জাতীয় ফল।
স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্ব?
- স্বাস্থ্যকর খাবারে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকে যা শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সুষম খাদ্যের ৫টি গুরুত্ব?
- শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশ: সুষম খাদ্যে প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান থাকে যা শারীরিক বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি অর্জন করা সম্ভব হয়।
- শক্তি ও কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি: সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি সরবরাহ হয় এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- মানসিক সুস্থতা: সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে এবং বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ইত্যাদি মানসিক সমস্যা দূর হয়।
- দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন: সুষম খাদ্য গ্রহণের ফলে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।
ইতিকথা । স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে – 31 healthy foods List
প্রিয় পাঠক, স্বাস্থ্যকর খাবার কাকে বলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করা খাবারের তালিকা সম্পর্কে আমরা এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি।আশা করছি আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়লে আপনারাই বিষয়গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পারবেন। বিষয়গুলো আপনার কাছে informative মনে হলে হলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কিত ইউটিউব ভিডিও