১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনি বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। এছাড়া আপনার পরিচিত মহলে ও আশেপাশে এমন ধরনের ব্যবসার আইডিয়া পেয়ে যাবেন কিন্তু বিনিয়োগ বাজেট যেহেতু অনেক কম তাই আপনার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজটা শুরু করা ঘুরতে বললো।
যেহেতু আপনার বাজেট দশ হাজার টাকা তাই এই বাজেটে সাফল্য লাভজনক করতে হলে আপনার নিজের পরিকল্পনা ও শ্রম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
উপস্থাপনা । ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া । নতুন ব্যবসার আইডিয়া
প্রিয় পাঠক, দশ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া ও নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আজকের আলোচনাটি শুরু করার আগে যদি আপনি 10,000 টাকায় কি ব্যবসা করবেন সে বিষয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তাহলে আশা রাখতে পারেন যে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আলোচনা থেকে পছন্দের ব্যবসাটি নির্বাচন করতে পারবেন।
এবং অল্প পুঁজিতে বেশি টাকা লাভ করা যায় এরকম ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ১০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া ছাড়াও আরো অন্যান্য ব্যবসা সম্পর্কিত পরামর্শ গুলো কাজে লাগিয়ে নতুন লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছি।
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় একটি ব্যবসা শুরু করে কিভাবে লাভজনক করা যাই বা সম্ভব কিনা এমন প্রশ্ন মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করে।বর্তমানে জিনিসের দাম যেভাবে লাগাবেন ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে সামান্য টাকা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা করা সম্ভব। বাস্তবতা হলো যদি আপনার সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করার মন মানসিকতা থাকে তাহলে ১০,০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করে ভবিষ্যতে বড় ব্যবসায়ী হওয়া সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ এসিআই কীটনাশকের মূল্য তালিকা
আপনার দক্ষতা ও পরিচালনায় সামান্য ১০ হাজার টাকা ব্যবসায় লাভজনক হয়ে একসময় অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানে উৎস হয়ে উঠতে পারে।তাই চলুন জেনে আসি ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
- মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা
- ফুচকার ব্যবসা
- অনলাইন গিফট শপ
- কাঁসা ও পিতলের ব্যবসা
- ফুড ডেলিভারি ব্যবসা
- ট্রাভেলিং ব্যবসা
- ট্যুর গাইড
- মেকআপ আর্টিস্ট
- নাচ গান বা আর্ট স্কুল
- বিউটিশিয়ান
- ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন রাইটিং
- টেইলার্স এর ব্যবসা
- পুরাতন বইয়ের ব্যবসা
- কাগজের ঠঙ্গার ব্যবসা
- পোষা প্রাণীর খাবারের ব্যবসা
- গ্রাফিক ডিজাইনিং
- অনলাইনে বই বিক্রয়
- ফলের দোকান
- আচারের ব্যবসা
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- জোস শরবত স্টল
- ঝাল মুড়ির ব্যবসা
- অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ব্যবসা
- ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসা
- গরম মসলা বিক্রির ব্যবসা
নতুন ব্যবসার আইডিয়া
আপনারা অনেকেই নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করে জানতে চেয়েছেন নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।নতুন মানুষ নতুন ব্যবসা শুরু করতে হলে আগে ব্যবসা সম্পর্কে একটি ভালো ধারণা অর্জন করতে হবে।কারণ ব্যবসা করার জন্য ধৈর্য পরিশ্রম ও মন মানসিকতার প্রয়োজন। ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সব সময় ভালো ব্যবসা হবে এমনটা নয়।
তবে আপনাকে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা সম্পন্ন বিষয় নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। তাই আপনারা যারা নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন আপনাদের সুবিধার্থে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে কিছু নতুন ব্যবসার টিপস টিকস উল্লেখ করা হলো।কি ধরনের ব্যবসা করলে আপনি নতুন অবস্থায় লাভবান হতে পারবেন তা জানতে নিজের অংশটুকু সম্পন্ন পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে জানুন
২০২৪ সালে আমাদের সময়ে ব্যবসা উদ্যোগের জন্য নতুন দিক তাকিয়ে এসেছে ডিজিটাল বৃদ্ধির অনলাইন বাজার এবং ই-কমার্স এখন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।এই সমস্ত ব্যবসায়ী বাণিজ্যিক সমাধানে আমাদের উদ্যোগী হতে হলে উদ্ভাবনশীলতা এবং প্রযুক্তির সাথে মিল রেখে সামাজিক পরিবর্তন অংশগ্রহণ করতে হবে।
ব্যবসা করার জন্য নতুন আইডিয়া তৈরি করতে হলে সৃজনশীলতা এবং মানব সম্প্রদায়ের মনোনিবেশ করা জরুরী।আশা করছি আপনি নতুন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন।
নতুন আইডিয়া | নতুন ব্যবসার আইডিয়া |
---|---|
ফেসবুক মার্কেটিং ব্যবসা | অনলাইন মার্কেটিং |
অনলাইন বাজার | রিয়েল এস্টেট |
ওয়েব ডিজাইন | হার্ডওয়ার ব্যবসার |
ব্লগিং | কেক পেস্ট্রিং হাউজ |
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং | মোমবাতি ব্যবসা |
ডিজিটাল মার্কেটিং | ম্যাট এর ব্যবসা |
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার | মসলার ব্যবসা |
পাপড়ের ব্যবসা | কোম্পানি ডিলার শিপ ব্যবসা |
নাচ-ক্লস ব্যবসা | সাবানের ব্যবসা |
চকোলেট ব্যবসা | মাশরুম চাষের ব্যবসা |
চুল কাটার ব্যবসা | ফুলের ব্যবসা |
সবজির ব্যবসা | খুচরা ব্যবসা |
ফুচকার ব্যবসা | বিল্ডিং উপকরণ |
সংবাদপত্র ব্যবসা | বাঙালি ফুড কেটারিং সার্ভিস |
কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায়
কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায় এ নিয়ে ভাবতে ভাবতে আপনারা বছরের পর বছর পার করে দিচ্ছেন তবুও ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না লজ্জা দ্বিধা কারণে।মনে রাখবেন প্রতিটি ব্যবসায়ী শুরুর দিকটা ছোট থাকে পরিশ্রম ও ধৈর্য পারে মানুষকে ছোট ব্যবসা থেকে বড় ব্যবসায়ী গড়ে তুলতে।
কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায় এমন প্রশ্ন আমাদের মাথার মধ্যে ঘুরফির করে তবুও আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি না।কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে।জীবনে ভালো কিছু করতে হলে অবশ্যই ব্যবসা হতে পারে আপনার সফলতার অংশ।বর্তমানে পৃথিবীতে নামিদামি সকল ধনী ব্যক্তিরা ব্যবসা করে পৃথিবীর নামিদামি ধনী হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঔষধের নাম
তাই আপনিও যদি মোটিভেট হয়ে ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করবেন তা বুঝে উঠতে না পারেন তবে আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায় তা সম্পর্কে।তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ছোট ব্যবসা শুরু করা যায় এ বিষয় সম্পর্কিত সকল তথ্য।
আপনার ব্যবসার ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ আপনি বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন একই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।এটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনার নিকটস্থ লোকেরাই পণ্য কিনবে বা সার্ভিস নেমে এমনটা নয় সারা বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ পুরনো ক্রয় করতে পারবে। একটি ওয়েবসাইটে আপনার ব্যবসার সকল পণ্য ও সার্ভিসের বিবরণ সহ উল্লেখ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অকালা মানে কি ও আমেল মঞ্জিল ভিসা অর্থ
সেখান থেকে মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে ক্রয় করবে।বর্তমানে একটি ওয়েবসাইট কোন প্লাগিন বা কোডিং ছাড়াই খুব সহজে তৈরি করা যায় অথবা আপনারা আমাদের কাছ থেকে একটি ওয়েব সাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।এটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আকর্ষণীয় ল্যান্ডিং প্রাইস তৈরি করে আপনার google এড facebook ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন চালিয়ে অনেক গ্রাহকের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারবেন।
ব্যবসার ডেটা এনালাইসিস করুনঃ অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের ব্যবসার উন্নতি করার জন্য ডেটা ক্রয় করে কিন্তু যেহেতু আপনার ছোট ব্যবসা সে ক্ষেত্রে আপনার শুরুতে অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয়।কিন্তু আপনি চাইলে গুগল এনালেটিক্স মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের আশা ট্রাফিকের বিশ্লেষণ ডেট অফ পেতে পারেন এবং আপনি এটা এনালাইসিস করতে পারবেন কোন বয়স এবং কোন এরিয়া মানুষ পণ্যের উপর আগ্রহী রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নতুন আপডেট
তাছাড়াও আপনি গুগল এডস বা facebook এ তাদের মাধ্যমে পেইড অ্যাড চ্যাম্পিয়ন চালাতে পারবেন।তবে মনে রাখবেন এ প্লাটফর্ম গুলো আপনার বিজ্ঞাপনের সঠিকভাবে এনালাইসিস করার জন্য আপনাকে অনেক ধরনের ডেটা সাপ্লাই করতে হবে। পণ্য, সেবা, সার্ভিস কৌশল পরিবর্তন করে ব্যবসাকে বড় ব্যবসা করতে পারবেন।
ব্যবসার জন্য সরকারি ট্রেড লাইসেন্স করুনঃ ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সরকারিভাবে ট্রেড লাইসেন্স করতে হবে।ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আপনার নিকটস্থ পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের নিকট হইতে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স এর গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স থাকা প্রয়োজন রয়েছে। তাই আপনার ব্যবসা সকল ধরনের দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে আজি ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স তৈরি করুন।
আপনার গ্রাহকদের সম্পর্কে জানুনঃ আপনারা গ্রাহকদের সম্পর্কে জানা মানে শুধু তাদের নাম ঠিকানা ইমেল আইডি জানার প্রয়োজন এমনটা নয়।আপনাকে জানতে হবে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদের পছন্দ অপছন্দ তারা কি পছন্দ করে কোন প্রোডাক্টটি তাদের প্রয়োজন এ বিষয় সম্পর্কে জানা দরকার।এতে একজন উদ্যোক্তা কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা সেবায় পরিবর্তন আনতে পারেন।
গ্রাহকরা কি চাই একজন উদ্যোক্তাকে তা বুঝতে হবে এবং গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক পণ্য আপডেট করতে হবে।এতে ব্যবসার উন্নত হয় কাস্টমারদের চাহিদা ও চাওয়া পাওয়া পছন্দ হতে শুরু করলে আপনার ব্যবসার উন্নতির ঘটবে।
আপনার পণ্য বা সেবার মান উন্নত করুনঃ আপনার পূর্ণ বর সেবার মান নির্ভর করবে যদি বিজনেস থেকে লাভ আসে তাহলে বুঝতে হবে সেভাবে পণ্য গ্রহণ করছে অতএব এ সময় আপনাকে আরো কোম্পানির কিসে পণ্য বা সার্ভিস চালু করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে।এমনটি করলে আপনার ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
দক্ষ ও পরিশ্রমী কর্মী নিয়োগ করুন প্রয়োজন পড়লেঃ
দেখো ও পরিশ্রম কর্মী নিয়োগ করতে হবে যদি আপনার ব্যবসার উন্নতি ঘটে সেক্ষেত্রে অবশ্যই দক্ষ পরিশ্রমী কর্মীদেরকে নিয়োগ দিতে হবে।যে কোন কোম্পানির অগ্রগতিতে সেই কোম্পানিতে কর্মরত কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।এবং এটিও দেখা গেছে অদক্ষ কর্মচারীদের কারণে ব্যবসার ব্যর্থ হয়।
তাই আপনি যদি আপনার ব্যবসা বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে এমন ইচ্ছা লোকদের খুঁজে বের করতে হবে যারা আপনি যে ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সেখানে কাজ করে উপভোগ করবে। আপনি যদি আপনার ব্যবসায় দক্ষ ও পরিশ্রমী লোক নিয়োগ করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসার সফলতার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। আপনার ছোট ব্যবসার বিকাশ ঘটাতে কেবল আপনাকে দুঃখ ও পরিশ্রমী লোক নিয়োগ করতে হবে।
ঋণ নিতে দ্বিধা করবেন নাঃ ব্যবসা শুরু করছেন তখন নিশ্চয়ই আপনাকে ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে হয়েছে কিন্তু আপনার দক্ষতা ও কাজের উপর আপনার ব্যবসার উন্নতি হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনার অর্থের প্রয়োজন পড়ে।এমন অবস্থায় আপনাকে অর্থের যোগান দিতে ঋণ নিতে হতে পারে।
বড় বড় কোম্পানি যাদের হাজার হাজার কোটি টাকার টান ওভার আছে তারাও তাদের ব্যবসা করার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে।আপনি যদি আপনার ব্যবসার উন্নতি প্রসার ঘটাতে চান তবে আপনাকে ঋণ নিতে দ্বিধা করবেন না।কেননা ব্যবসার জন্য মূলধন প্রয়োজন।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুনঃ ব্যবসার উন্নতি করতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক বড় বড় কোম্পানি খুব সহজেই জনগণের মধ্যে প্রচার হচ্ছে।আপনিও আপনার ছোট কোম্পানিকে যদি বড় আকারে প্রচার করতে চান এক্ষেত্রে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারবেন।
যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটে নতুন কিছু আপডেট করবেন সেই তথ্যটি আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করে দিন।তখন উক্ত পোস্টে সম্পর্কে কারো কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জানিয়ে দিবে।এতে আপনার কোম্পানির প্রচারণা বৃদ্ধি পাবে।
সর্বদা একটি ব্যাকআপ প্ল্যান করে রাখুনঃ যে কোন ব্যবসার জন্যই ঝুঁকি থাকে।যেহেতু একজন উদ্যোক্তা ব্যবসা কে প্রবাহিত করে এমন সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না উদ্যোক্তা সব সময় একটি ব্যাকআপ পরিকল্পনা করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।এতে করে তারা ব্যবসার লোকসান সামলিয়ে উড়তে পারে।এই ব্যাক আপ প্ল্যান উদ্যোক্তা উদ্যোক্তার তার বিপদ সংকটের সময় বের করে সাহায্য আনতে পারবে এমন প্ল্যান তৈরি করে রাখতে হবে।
ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা
আপনি যদি বাসায় বসে এটি ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চান তবে পড়বে কিছু ইউনিক ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নেওয়া উচিত।কেননা আপনি ঘরে বসে খোদা ব্যবসা সম্পর্কে যত বেশি রিচার্জ করবেন ততো ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে পাবেন।তাইতো আপনাদের ঘরে বসে ক্ষুদ্র ব্যবসা আইডিয়া দিতে আজকের আর্টিকেলে নিয়ে এসেছি লাভজনক ক্ষুদ্র ব্যবসার আইডিয়া।তাহলে চলুন ঘরে বসে খুচরা ব্যবসা আইডিয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক।
নকশীকাঁথা তৈরীর ব্যবসা : বর্তমান সময়ের লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে নকশি কাঁথা অন্যতম।ঘরে বসে মা বোনেরা নকশীকাঁথা তৈরি করতে বেশ দক্ষতা অর্জন করে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করে লাভবান হচ্ছে।নকশী কাঁথা তৈরি ব্যবসা শুরু করার থেকে কম পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়।তাই যারা ঘরে বসে অযথা সময় নষ্ট করছে তাদের জন্য নকশী কাঁথা তৈরীর প্রতিভা ও সময় কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা করা : আপনারা অনেকেই জানেন এবং দেখছেন আপনার আশেপাশের মানুষ ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে লাখ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।তাই আপনিও চাইলে ঘরে বসে অল্প টাকায় ইনভেস্ট করে ফেসবুক অথবা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।
আপনার সার্ভিস সমূহ অনলাইনে এর মাধ্যমে কাস্টোমার অর্ডার নিতে পারবে এবং আপনি বিভিন্ন কুরিয়ার ও ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে ঘরে বসে কাস্টমারদের পণ্য পৌঁছে দিতে পারবেন।অনলাইনে আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন জামাকাপড় খাবার অর্গানিক ফুড কসমেটিক ওষুধ বাচ্চাদের খেলনা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের পার্টস এবং ইলেকট্রনিক্স পণ্য।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার নিয়ম
আচার তৈরির ব্যবসা: আচারের কথা শুনলে সকলের জীবনে জল চলে আসে।কমবেশি সকল মানুষের পছন্দের খাবারের মধ্যে অন্যতম খোলা আচার।আপনি যদি ঘরে বসে সুস্বাদু আচার তৈরি করতে পারেন তাহলে এটি আপনার ইনকামের একটি মাধ্যম হবে।সুস্বাদু আচার তৈরি করে বাজারে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে আসার বিক্রয় করতে পারবেন।
আচার তৈরির জন্য আপনারা বিভিন্ন ফল দিয়ে আসার করতে পারবেন যেমন আমের আচার, জলপাইয়ের আচার, আমলকি আচার কামরাঙ্গা, আচার তেতুলের আচার, মাশরুমের আচার, মিক্স আচার ইত্যাদি। আপনার এ প্রচেষ্টা যদি ঘরে বসে কাজে লাগাতে পারেন তবে আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
১০ হাজার টাকায় কি ব্যবসা করা যায়?
মাত্র ১০ হাজার টাকায় এই ২৪ টি ব্যবসা করার যায়ঃ মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা, ফুচকার ব্যবসা, অনলাইন গিফট শপ, কাঁসা ও পিতলের ব্যবসা, ফুড ডেলিভারি ব্যবসা, ট্রাভেলিং ব্যবসা, ট্যুর গাইড, মেকআপ আর্টিস্ট, নাচ গান বা আর্ট স্কুল,বিউটিশিয়ান, ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন রাইটিং, পুরাতন বইয়ের ব্যবসা, কাগজের ঠঙ্গার ব্যবসা, পোষা প্রাণীর খাবারের ব্যবসা, গ্রাফিক ডিজাইনিং, অনলাইনে বই বিক্রয়, ফলের দোকান, আচারের ব্যবসা, ডিজিটাল মার্কেটিং, জুস শরবত স্টল, ঝাল মুড়ির ব্যবসা, অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ব্যবসা, ইউটিউব চ্যানেল ব্যবসা, গরম মসলা বিক্রির ব্যবসা।
5000 টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
৫০০০ টাকা দিয়ে শুরু করুন খুবই লাভজনকঃ ফুচকার ব্যবসা, ঝাল মুড়ির ব্যবসা,ফ্রিল্যান্সিং কন্টেন রাইটিং,জুস শরবত স্টল।
20 হাজার টাকা দিয়ে কি ব্যবসা করা যায়?
২০ হাজার টাকা দিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং করে মাসে লক্ষ টাকা আয় করা যেতে পারে অথবা বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন।
কোন দোকান খুললে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়?
যে ব্যবসা গুলোতে সবচেয়ে বেশি লাভ হয়ঃ ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিক্রয়ের ব্যবসা করলে সবচাইতে বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রামে কি ব্যবসা করা যায়?
গ্রামে যে ধরনের ব্যবসা করা যায়ঃ শাকসবজির ব্যবসা, ফলের ব্যবসা, সার ও কীটনাশকের ব্যবসা, চাউল এর ব্যবসা মাছের খাবার, গৃহপালিত পশু খাবারের ব্যবসা করা লাভজনক হতে পারে।
শেষ কথা । ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া । নতুন ব্যবসার আইডিয়া
প্রিয় পাঠক, আশা করছি ব্যবসা বিষয়ক আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি 10000 টাকায় ২৫ টি নতুন ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। আশা করছি আজকের ব্যবসার আইডিয়াগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি অল্প টাকায় বেশি লাভ করার ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছে। আর্টিকেলটি করে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন।