ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৩টি ট্রেন চালু রয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট কাটার বিষয়ে অনলাইন ট্রেন টিকিট বুকিং এর কোন সিস্টেম চালু নেই। মৈত্রী এক্সপ্রেস সহ যেই ৩টি ট্রেন চালু রয়েছে সেই ট্রেন গুলো হচ্ছে ঢাকা-কলকাতা ঢাকা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি আর ঢাকা ঢাকা রূটে মিতালী এক্সপ্রেস
এবং খুলনা-কলকাতা খুলনা রূটে বন্ধন এক্সপ্রেস যারা ভারত ভ্রমণের জন্য অথবা চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করেন তাদের পছন্দের প্রথম তালিকায় রয়েছে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
উপস্থাপনা । মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার কারণে এবং তাদের সাথে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক ভালো থাকার কারণে বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের মধ্যে কার যুক্তি অনুযায়ী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়, যাতে করে দুই দেশের নাগরিক খুব সহজেই দুটি দেশ ভ্রমণ করতে পারে এবং প্রয়োজনের সকল কার্যক্রম সহজেই করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করার উপায় জানুন
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াতের জন্য যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি এই পুরো আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াতের জন্য সকল তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি তাই অনুরোধ থাকবে ধৈর্য সহকারে সমস্ত আর্টিকেলটি পড়ে নেয়ার।
মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট
মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট এখন পর্যন্ত চালু হয়নি এটি চালু হওয়া না হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াতের জন্য অবশ্যই আপনাকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে ই-পাসপোর্ট করার সহজ নিয়ম জানুন
অনলাইনে শুধু আপনি টিকিটের দাম জানতে পারবেন স্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটার জন্য অবশ্যই আপনাকে পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে এবং ট্রেন ছাড়ার সময় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জানতে পারবেন মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইনে টিকিট এর দাম জানতেএখানে ক্লিক করুন ।
মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা টু ঢাকা ভাড়া
মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা টু ঢাকা ভাড়া সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই আছেন। মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা টু ঢাকার ভাড়া বর্তমানে AC_CHAIR ৳2599 TK Including VAT. AC_S ৳3899 Including VAT. প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিট প্রতি ৳1000 ভ্রমণ কর মূল ভাড়ার সাথে যোগ করা হবে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিট প্রতি ৳1000 ভ্রমণ কর এবং সীট প্রতি ৳200 বেডিং চার্জ বেস ভাড়ার সাথে যোগ করা হবে।
মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা কোন স্টেশনে থামে
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন কলকাতা কোন স্টেশনের থামে চিৎপুর রেলওয়ে স্টেশনে থামে, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল ৮:১৫ মিনিটে ভারতের কলকাতার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। এবং এই ট্রেনের বাংলাদেশের দর্শনা নামক স্থানে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের সকল স্টপ চেঞ্জ হয় এবং সেখান থেকে ভারতীয় ট্রেন চালক এবং স্টাফরা যুক্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
তারপর সেখানে কিছু সাধারণ ইমিগ্রেশন শেষে ভারতের কলকাতা স্টেশন এ গিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন থামবে, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়ার সময় আপনাকে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হলো আপনার সাথে যদি ক্যামেরা কিংবা ড্রোন ল্যাপটপ এই সমস্ত ডিভাইস থাকে তাহলে সেগুলোকে আপনি অবশ্যই ইমিগ্রেশন করিয়ে নেবেন,
তা না হলে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহে পাঁচ দিন ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে প্রতি শুক্রবার, রবিবার, মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং ভারতের কলকাতা থেকে প্রতি শনিবার এবং বুধবার ভারতের কলকাতা রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
গেদে বর্ডারে গিয়ে আপনাকে আবার ইমিগ্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনার যদি ফরম পূরণ করতে কোন সমস্যা থাকে তাহলে স্টেশনে যে কারো সাহায্য নিতে পারেন কলকাতা স্টেশনে ইমিগ্রেশন করতে আপনার ঘন্টাখানেক সময় লেগে যেতে পারে সেখানে আপনার ব্যাগ লাগেজ সমস্ত কিছু চেক করে দেখবে সেক্ষেত্রে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী থেকে ঢাকা যাওয়ার ট্রেনের সময়সূচি জানুন
আপনার কাছে যদি অবৈধ কোন জিনিসপত্র না থাকে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। তাহলে এখানেও আপনি মানি এক্সচেঞ্জ করে নিতে পারেন মানে বাংলাদেশী টাকার পরিবর্তে ভারতীয় রুপিতে কনভার্ট করে নিতে পারেন।
কিন্তু এখানে একটি সমস্যা হল এখানে রেট কম দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কিছু পরিমাণে টাকার রেট কম পাবেন আর এর সাথে ভারতীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাট যুক্ত হয়।
তাই আপনারা এখানে মানি এক্সচেঞ্জ না করিয়ে নিয়ে কলকাতা নিউমার্কেটে মানি এক্সচেঞ্জ করিয়ে নিলে সেক্ষেত্রে টাকার রেট একটু বেশি পাবেন।
কলকাতা টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী
আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী সপ্তাহে ৪ দিন। সোম, মঙ্গল, শুক্র এবং শনিবার। কলকাতা চিৎপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় সকাল ৭টা ১০ মিনিটে কলকাতা থেকে শুক্র, শনিবার, রবিবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার সপ্তাহে এই ৫ দিন মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ টমেটো খেলে কি কি ক্ষতি হতে পারে
কলকাতা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত প্রতিদিন টিকিট কাটা যাবে। টিকিট কাটার স্থান ফেয়ারলি প্লেস, ডালহৌসি স্কয়ার, কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন। ঢাকায় পৌঁছায় বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে। এবং ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে শুক্র, শনিবার, রবিবার, মঙ্গলবার এবং বুধবার সপ্তাহে এই ৫ দিন ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে ট্রেন ছেড়ে যায়।
বাংলাদেশ থেকে টিকিট কাটার স্থান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। মৈত্রী এক্সপ্রেসের অগ্রিম টিকিট যাত্রার ২৯ দিন পূর্বে কাটতে পারবেন।
FAQ | মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট
মৈত্রী এক্সপ্রেস টিকিট কোথায় পাওয়া যায়?
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পেতে হলে আপনাকে পাসপোর্ট সহকারে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সরাসরি টিকিট কাটতে হবে এ টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় না তাই আপনাকে সরাসরি এই টিকিট কাটতে হবে আপনি শুধু অনলাইনে এই টিকিটের দাম এবং ট্রেন ছাড়ার সময় সম্পর্কে জানতে পারবেন
মৈত্রী ট্রেনের ভাড়া কত?
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া AC_CHAIR
৳2599
Including VAT
Available Tickets
Counter
AC_S
৳3899
Including VAT
Available Tickets
(Counter
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিট প্রতি ৳1000 ভ্রমণ কর মূল ভাড়ার সাথে যোগ করা হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সিট প্রতি ৳1000 ভ্রমণ কর এবং সীট প্রতি ৳200 বেডিং চার্জ বেস ভাড়ার সাথে যোগ করা হবে।
মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট কোথায় পাওয়া যায়?
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার কোন অপশন নেই। মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে হলে আপনাকে বাংলাদেশের ঢাকার বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাটতে হবে।
আপনি যদি ভারত থেকে এ টিকিট কাটতে চান সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভারতের শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় সেখান থেকে কাটতে পারবেন।
মৈত্রী এক্সপ্রেস কবে চালু হয়?
মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয় ৫২ বৎসর পর, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা পহেলা বৈশাখের দিন থেকে এ ট্রেন সেবা পুনরায় চালু হয়েছে। এই প্রেম সেবা চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভারতে খুব সহজেই যে কোন প্রয়োজনে ভ্রমণ করতে পারে।
এবং ভারতের মানুষ বাংলাদেশে সহজেই ভ্রমণ করার সুবিধা পাচ্ছে এই মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন সেবাটি ভারত বাংলাদেশ এর বন্ধুত্বের সম্পর্কের প্রতীক বলা হয়ে থাকে।
শেষ কথা । মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইন টিকেট । মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতা টু ঢাকা ভাড়া
মৈত্রী এক্সপ্রেস অনলাইনে টিকিট এর বিষয়ে সঠিক তথ্যের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আজকের আলোচনা থেকে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গিয়েছেন। আরো অন্যান্য বিষয়ের জানা থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করে রাখতে পারেন। আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসলে পরিচিত জনের সাথে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।