সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি ও কি কি সৌর জগতের গ্রহ কয়টি ও কী কী তা সম্পর্কে জানার আগ্রহ আমাদের অনেকেরই।২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএউ) গ্রহের সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে। নতুন সংজ্ঞা অনুসারে, একটি গ্রহকে নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হবে।এটি কি সূর্যের চারপাশে একটি কক্ষপথে ঘোরে?
এটি কি নিজের মহাকর্ষের কারণে গোলাকার বা উপগোলাকার আকার ধারণ করে? এটি কি তার কক্ষপথের কাছাকাছি অন্য কোনও বড় বস্তুকে অপসারণ করার জন্য পর্যাপ্ত ভর ধারণ করে?
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আমরা সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএউ) তথ্যের ভিত্তিতে, প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা থেকে অবনমিত করা হয় এবং এটিকে একটি “বামন গ্রহ” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়।
সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি ও কি কি
সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি ও কি কি এই আলোচনার দিকে অগ্রসর হওয়া যাক।২০২৪ সালের ৮ই জানুয়ারী পর্যন্ত, সৌরজগতের মোট গ্রহের সংখ্যা আটটি। সূর্য থেকে বাইরের দিকে গেলে প্রথম চারটি গ্রহ হচ্ছে ভূসদৃশ, যথা, বুধ, শুক্র, পৃথিবী এবং মঙ্গল। এর পর চারটি গ্যাসীয় দানব: বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন।
আরো পড়ুনঃ সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা
২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান ইউনিয়ন (আইএউ) গ্রহের সংজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে। নতুন সংজ্ঞা অনুসারে, একটি গ্রহকে নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করতে হবে।
- এটি সূর্যের চারপাশে একটি কক্ষপথে ঘোরে?
- এটি নিজের মহাকর্ষের কারণে গোলাকার বা উপগোলাকার আকার ধারণ করে?
- এটি তার কক্ষপথের কাছাকাছি অন্য কোনও বড় বস্তুকে অপসারণ করার জন্য পর্যাপ্ত ভর ধারণ করে?
এই সংজ্ঞার ভিত্তিতে, প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা থেকে অবনমিত করা হয় এবং এটিকে একটি “বামন গ্রহ” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। এর ফলে,সৌরজগতের মোট গ্রহের সংখ্যা আটটিতে নেমে আসে। সৌরজগতের মোট গ্রহ হল ৮ টি। কিন্তু এদের এক বা একাধিক উপগ্রহ রয়েছে।
গ্রহ কয়টি ও কী কী
গ্রহ কয়টি ও কি কি এ বিষয়ে আমরা গ্রহ কয়টি তা জেনেছি। এখন আমরা কি কি গ্রহ আছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।সৌরজগতে মোট আটটি গ্রহ রয়েছে। সূর্য থেকে বাইরের দিকে গেলে গ্রহগুলোর নাম হলোঃ
- বুধ
- শুক্র
- পৃথিবী
- মঙ্গল
- বৃহস্পতি
- শনি
- ইউরেনাস
- নেপচুন
বুধ, শুক্র, পৃথিবী এবং মঙ্গলকে ভূসদৃশ গ্রহ বলা হয়। কারণ এদের আকৃতি এবং গঠন পৃথিবীর মতো। এই আটটি গ্রহ গুলোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
সৌরজগৎ
আপনারা সকলে সৌরজগৎ সম্পর্কে জানেন।কিন্তু প্রতিটি গ্রহের গতিপ্রকৃতি, সূর্য থেকে তাদের দূরত্ব, গ্রহগুলোর বৈশিষ্ট্য অথবা তাদের উপগ্রহগুলো সম্পর্কে সাম্যক ধারণা অনেকেরই নেই। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। প্রথমে আসি সৌরমণ্ডলের কথায়।সৌরমন্ডল এর কেন্দ্রে রয়েছে একমাত্র নক্ষত্র সূর্য ।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত
আর তাকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে আটটি গ্রহ,এবং তাদের ১৬৬ টি উপগ্রহ। গ্রহগুলো যথাক্রমে, বুধ ,শুক্র, পৃথিবী , মঙ্গল ,বৃহস্পতি , শনি ,ইউরেনাস , নেপচুন। এবার আমরা সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহ গুলো সম্পর্কে এক এক করে জেনে নেব। সৌরমন্ডলের কেন্দ্রে অবস্থিত একমাত্র জ্যোতিষ্ক হল সূর্য। সূর্যের ব্যাস ১৩,০০০৯২ হাজার কিলোমিটার।
পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১০৯ গুন বড় ৭৪% হাইড্রোজেন ২৫% হিলিয়ামে পূর্ণ সূর্য আসলেই একটি গ্যাসীয় অগ্নি পিণ্ড সূর্যের অপরিসীম মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানেই সৌরমন্ডলের গ্রহ গুলো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের পৃথিবী ঘন্টায় প্রায় ৮ লক্ষ ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ঘুরে চলেছে।
বুধ গ্রহের বৈশিষ্ট্য
বুধ গ্রহের বৈশিষ্ট্য হলো,সৌরজগতের সব থেকে কাছে অবস্থিত এবং ছোট গ্রহটি হল বুধ। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে বুধের সময় লাগে ৮৮ দিন যা অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেক দ্রুত। সূর্য থেকে বুধের দূরত্ব ৫৭.৯১ মিলিয়ন কিলোমিটার,বুধ গ্রহের নিজস্ব কোন উপগ্রহ নেই।বুধের ব্যাস প্রায় ৪৮৭৯ কিলোমিটার।
আরো পড়ুনঃ সহজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার পদ্ধতি জেনে নিন
বুধগ্রহে অ্যাটমিক অক্সিজেন ও অ্যাটোমিক হাইড্রোজেন,সোডিয়াম ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম,ক্যালসিয়াম এবং হিলিয়ামের অস্তিত্ব আছে। বুধ সূর্যের কাছের গ্রহ হওয়া সত্বেও এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা চরম শীতল হতে পারে। দিনের বেলায় এই গ্রহের উষ্ণতা ৪৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়।কিন্তু রাতের বেলায় তা মাইনাস ১৭৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
উষ্ণতার এই তারতম্যের পরিমাণ 600 ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি হয় যা সৌরজগতের যে কোন গ্রহের তুলনায় বেশি এই গ্রহটিকে টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে সপ্তদশ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম পর্যবেক্ষণ করেছিলেন জ্যোতিষবিজ্ঞানী গ্যালিলিও এবং থমাস হ্যারিয়ট বুধ গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ৩৮ শতাংশ অর্থাৎ যদি পৃথিবীতে আপনার ওজন ১০০ কেজি হয় তবে বুধ গ্রহে আপনার ওজন হবে ৩৮ কেজি।
শুক্র গ্রহের বৈশিষ্ট্য
শুক্র গ্রহের বৈশিষ্ট্য হল,সৌরজগতে বুধের পরেই সূর্যের নিকটতম গ্রহ হল শুক্র গ্রহ। সূর্য থেকে শুক্রে গ্রহের দূরত্ব ১০৭.৫৭ মিলিয়ন কিলোমিটার। সূর্যের চারিদিকে একবার প্রদক্ষিণ করতে শুক্র গ্রহের সময় লাগে ২২৪ দিন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করার তুলনায়,নিজের অক্ষের চারিদিকে একবার ঘুরে আসতে
আরো পড়ুনঃ স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা জেনে নিন
-শুক্র গ্রহের বেশি সময় লাগে যাকিনা ২৪৩ দিন। বুধ গ্রহের তুলনায় সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করা সত্ত্বেও শুক্র গ্রহ বুধের গ্রহের থেকেও অনেক বেশি উষ্ণ। এর উষ্ণতা ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মুখ্য কারণ হলো শুক্রের বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের অতিরিক্ত উপস্থিতি যা কিনা ৯৬.৫% কার্বন ডাই অক্সাইড।
এর ফলে তীব্র গ্রিনহাউস ইফেক্ট ঘটে এবং বায়ুমন্ডলের তাপ আটকে থেকে যায়।১৬১০ সালে বিজ্ঞানী গ্যাললিও সর্বপ্রথম টেলিস্কোপের মাধ্যমে শুক্র গ্রহকে পর্যবেক্ষণ করেন। শুক্র গ্রহের নিজস্ব কোন উপগ্রহ নেই।
এই গ্রহের ব্যাস ১২১০৪ কিলোমিটার।শুক্র গ্রহের বায়ুমন্ডলে অতিরিক্ত সালফিউরিক এসিডের উপস্থিতির ফলে সালফিউরিক এসিডের মেঘ তৈরি হয়।যা গ্রহটিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করে তুলেছে, শুক্র গ্রহ এতটাই উজ্জ্বল যে একে দিনের বেলাও আকাশে দেখা যায়।
পৃথিবী সম্পর্কে
এবার আমরা জানবো আমাদের পৃথিবী সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য। সৌরমণ্ডলের তৃতীয় গ্রহ হল পৃথিবী, সৌরজগতে পৃথিবী একমাত্র গ্রহ যার নাম কোন রোমান বা গ্রীক দেবতার নাম অনুসারে রাখা হয়নি। আজ থেকে প্রায় ৪.৫৪ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল, এবং এটিই একমাত্র জ্ঞাত গ্রহ যেখানে প্রাণের অস্তিত্ব আছে।
আরো পড়ুনঃ গ্রামীণফোনের আনলিমিটেড ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত
সূর্য থেকে পৃথিবী ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সূর্যকে একবার পৃথিবীর প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩৬৫ দিন,এবং নিজের অক্ষের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৪ ঘন্টা।কিন্তু পৃথিবীর আবর্তন গতি ক্রমশ কমছে যা প্রতি ১০০ বছরে ১৭ মিলি সেকেন্ড। এর প্রভাব পড়বে আমাদের দিনরাত্রির হিসাবের উপর।
কিন্তু এটা এতটাই ধীরগতিতে ঘটছে যে আজ থেকে প্রায় ১৪০ বিলিয়ন বছর পর দিনের পরিমাণ ২৪ ঘন্টা থেকে বেড়ে ২৫ ঘণ্টা হবে।পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র অত্যন্ত শক্তিশালী,তার কারণ অবশ্য পৃথিবীর কেন্দ্রের নিকেল লোহা এই চৌম্বক ক্ষেত্রটির সোলার উইন্ড এর প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে।
আমরা সকলেই জানি যে পৃথিবীর একটি মাত্র উপগ্রহ আর তা হলো চাঁদ।পৃথিবীর ব্যাস ১২৭৪২ কিলোমিটার পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ৭৮ শতাংশ নাইট্রোজেন ২০.৯৫% অক্সিজেন ০.০৪%কার্বন ডাই অক্সাইড এবং কয়েকটি অন্যান্য গ্যাসের সাথে জলীয় বাষ্প আছে।পৃথিবীর সর্বোচ্চ উষ্ণতা ৫৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন উষ্ণতা -৮৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
মঙ্গল গ্রহ
সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহটি হল মঙ্গলগ্রহ সূর্য থেকে মঙ্গলের দূরত্ব ২২৭ দশমিক ৯ মিলিয়ন কিলোমিটার। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে মঙ্গলের সময় লাগে ৬৮৭ দিন।এবং নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে মঙ্গলের সময় লাগে ২৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট।পৃথিবী ও মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের ভর প্রায় সমান ।
মঙ্গলের ব্যাস ৬৭৮৯ কিলোমিটার,সৌরজগতের সব থেকে উচ্চতম পর্বত OLYMPUS MONS মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত,এটা আসলে একটি আগ্নেয় পর্বত।মঙ্গলের দুটি উপগ্রহ আছে PHOBOS এবং DEIMOS অসংখ্য গ্রহের সাথে সংঘর্ষের ফলে প্রায় চার বিলিয়ন বছর আগে এই গ্রহটি তার ম্যাগনেটোস্ফিয়ার হারিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সুজির মালপোয়া বানানোর সহজ নিয়ম
এর ফলে সোলার উইন্ড এই গ্রহের আইনেসফেয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলায় মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলটি অত্যন্ত পাতলা।মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে ৯৬%কার্বন ডাই অক্সাইড এক দশমিক১.৯৩% আর্গন ১.৮৯% নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেন ও পানির সামান্য অস্তিত্ব রয়েছে।এই গ্রহের সর্বোচ্চ উষ্ণতা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন উষ্ণতা – ১৪৩° সেলসিয়াস এই গ্রহেপৃষ্ঠে এত পরিমান আয়রন অক্সাইড থাকে যে গ্রহটি দেখতে লাল রংয়ের।
বৃহস্পতি গ্রহ
বৃহস্পতি গ্রহ হল সৌরজগতের পঞ্চম গ্রহ।এটা আয়তনে সবথেকে বৃহত্তম। সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব ৭৬৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন কিলোমিটার। এই গ্রহের ব্যাস ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮২০ কিলোমিটার। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে বৃহস্পতির সময় লাগে ১২ বছর এবং নিজের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৯ ঘন্টা ৫৬ মিনিট।
এটা যে কোন গ্রহের তুলনায় অনেক দ্রুত। এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর প্রায় আড়াই গুণ বৃহস্পতির মোট ৭৯ টি উপগ্রহ আছে। ৫২৬২ কিলোমিটার ব্যাস যুক্ত GANYMEDE উপগ্রহটি সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্র।
শনি গ্রহ
সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ হলো শনি গ্রহ তবে এটা সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এর ব্যাস ১২০৫৩৬ কিলোমিটা।সূর্য থেকে শনির দূরত্ব ১.৪৯ বিলিয়ন কিলোমিটার। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে শনি
গ্রহের সময় লাগে ২৯ বছর এবং নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় ১০ ঘন্টা ৪২ মিনি।এই গ্রহের গড় উষ্ণতা -১৭৮° সেলসিয়াস, শনি গ্রহের মোট ৮২ টি উপগ্রহ রয়েছে। এই গ্রহের চারিদিকে বিশাল সুন্দর বিস্তৃত বলায় গ্রহটিকে ঘিরে রেখেছে।
ইউরেনাস গ্রহ
সৌরজগতের সপ্তম গ্রহটি হলো ইউরেনাস গ্রহ, সূর্য থেকে এর দূরত্ব ২.৯৫ বিলিয়ন কিলোমি।এই গ্রহের ব্যাস ৫০ হাজার ৭২৪ কিলোমিটার।সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৮৪ বছর।
নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে ১৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট।এই গ্রহের গড় উষ্ণতা -২০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় ,এটা সৌরজগতের সব থেকে শীতলতম গ্রহ। ইউরেনাসের মোট ২৭ টি উপগ্রহ আছে।
নেপচুন গ্রহ
সৌরজগতের অষ্টম এবং শেষ গ্রহটি হল নেপচুন গ্রহ। সূর্য থেকে দূরত্ব ৪.৪৭ বিলিয়ন কিলোমিটার নেপচুনের ব্যাস ৪৯ হাজার ২44 কিলোমিট। এই গ্রহটি সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ১৬৫ বছর এবং নিজের অক্ষের চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় ১৬ ঘণ্টা ৬ মিনিট। গড় উষ্ণতা -২০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ,নেপচুনের মোট উপগ্রহের সংখ্যা ১৪ টি।
FAQ । সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি ও কি কি – গ্রহ কয়টি ও কী কী
সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহের নাম কি?
বুধ গ্রহের বৈশিষ্ট্য হলো,সৌরজগতের সব থেকে কাছে অবস্থিত এবং ছোট গ্রহটি হল বুধ। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে আসতে বুধের সময় লাগে ৮৮ দিন যা অন্যান্য গ্রহের তুলনায় অনেক দ্রুত।
সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ টির নাম কি?
বৃহস্পতি গ্রহ হল সৌরজগতের পঞ্চম গ্রহ।এটা আয়তনে সবথেকে বৃহত্তম। সূর্য থেকে বৃহস্পতির দূরত্ব ৭৬৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন কিলোমিটার।
সৌরজগতের সবচেয়ে শীতলতম গ্রহ কোনটি?
ইউরেনাস গ্রহ এই গ্রহের গড় উষ্ণতা -২০১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় ,এটা সৌরজগতের সব থেকে শীতলতম গ্রহ। ইউরেনাসের মোট ২৭ টি উপগ্রহ আছে।
শেষ কথা । সৌরজগতের মোট গ্রহ কয়টি ও কি কি । গ্রহ কয়টি ও কী কী
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটি থেকে আমরা গ্রহ এবং উপগ্রহ সম্পর্কে জানতে পারলাম আশা করি এই পোষ্টের তথ্যগুলো পড়ে আপনারা গ্রহ এবং উপগ্রহ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো এবং এরকম তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে অবশ্যই কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইলো ধন্যবাদ।
পোস্ট ট্যাগ-
সৌরজগতের মোট উপগ্রহ কয়টি, সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহের নাম কি, সৌরজগতের গ্রহ কয়টি ২০২২,সৌরজগতের গ্রহের ছবি, নয়টি গ্রহের নাম কি কি?, পৃথিবী কি গ্রহ না উপগ্রহ, গ্রহের নাম ও ছবি, সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট গ্রহের নাম কি, সৌরজগতের সবচেয়ে বড় ও সবচেয়ে ছোট গ্রহের নাম কি, নয়টি গ্রহের নাম কি কি?, বৃহস্পতির সবচেয়ে বড় উপগ্রহের নাম ক।