মাত্র ৭ দিনে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে কাতলা মাছের প্রিয় টোপ কোনটি? কাতলা মাছ সবচাইতে যে টোপ পছন্দ করে এবং মাছ ধরার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর ব্যবহার জানা থাকলে, মৎস্য শিকারী দের বরশি দিয়ে মাছ স্বীকার করার ক্ষেত্রে খুব সহায়ক হবে। এবং আজকে যেই পদ্ধতিগুলো আপনাদেরকে জানাবো, সে টিপস গুলো ফলো করে কাতলা মাছের প্রিয়
পোস্ট সূচিপত্র-টোপ নিজেই বানিয়ে নিতে পারবেন। সে সাথে রুই মাছের চার বানানোর পদ্ধতি ও জানাবো এবং বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে কিভাবে আপনি মাছের প্রিয় টোপগুলো বানাতে পারবেন এবং খুব অল্প টাকার খরচ করেই, আপনি বাড়িতেই মাছের প্রিয় টপ গুলো বানিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজে।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক,আজকে আপনাদের কাতলা মাছের টোপ কিভাবে বানাতে হয় এবং রুই মাছের চার বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আজকের এই আলোচনা থেকে আপনি মাছ ধরার টোপের বিষয়ে,অনেকটাই অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন।
কাতলা মাছের প্রিয় টোপ
আজকের কাতলা মাছের প্রিয় টোপ তৈরি করার টিপসগুলো মৎস্য শিকারি ভাইদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বাজারে কিনতে পাওয়া মাছের টোপের পাশাপাশি আমার দেখানো পদ্ধতি যদি অনুসরণ করে কাতলা মাছের টোপ বানিয়ে ফেলেন তাহলে আশা করছি আপনার মাছ শিকারের
-অভিজ্ঞতা অনেকটাই বদলে যাবে। এটি ছিটানোর ১০ হাত জায়গার মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে কাতলা মাছকে আকর্ষিত করবে এবং প্রচুর পরিমাণে আপনার ছিপে মাছ ধরা পড়বে।
কাতলা মাছের প্রিয় টোপ তৈরি করার উপকরণঃ
- বুটের ছাতু ২৫০ গ্রাম
- গরুর দুধের ঘি ৮৫ গ্রাম
- সরিষা ফুলের খাঁটি মধু ৫০ গ্রাম
- গরুর দুধের সর ৬৫ গ্রাম
- ২ পিস কাচা বাদামের গুঁড়া
- শুকনো খুরমা খেজুর ৩ পিস
- ৩ পিস কাঠ বাদামের গুঁড়া
উপরে উল্লেখিত সকল উপাদান গুলো একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এগুলো অনেকক্ষণ ধরে মিশ্রণটি হাতের দ্বারা নাড়াচাড়া করতে হবে। মিশ্রণ গুলো প্রায় ২০মিনিট ধরে মেশাতে হবে। কাতলা মাছের টোপ বানানো হয়ে গেলে আপনি যেখানে বড়শি ফেলবেন সে জায়গায় এই টোপ
-ছিটিয়ে দিন এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, আপনি সেখানে বরশি ফেলুন এতে করে আশেপাশের সবার চাইতে আপনার বড়শিতে বেশি মাছ উঠবে।
রুই মাছের চার বানানোর পদ্ধতি
অনেকেই রুই মাছের চার বানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান।আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে রুই মাছের চার বানানো যায়। এই মিশ্রণটি দিয়ে আপনার মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা পাল্টে যাবে। খুব কম খরচে আমরা এই রুই মাছের চার বানাতে পারি, রুই মাছের চার বানানোর উপকরণগুলো লিস্ট আকারে বর্ণিত হলঃ
- পাউরুটি ১পিস
- সাগর কলা ১/২ পিস
- পিঁপড়ার ডিম ২০ গ্রাম
- খাঁটি ঘি ১ চা চামচ
- ৩ পিস বাদামের গুঁড়ো
প্রথমে পাউরুটির উপরের লাল অংশ তুলে ফেলতে হবে, তারপর এটি একটি বাটিতে নিতে হবে, সাগরকলা এক পিস, নেওয়ার পর বাকি উপকরণগুলো পাউরুটির সাথে মিক্স করতে হবে। মিক্স করার পর যে মন্ড টি তৈরি হবে, সেটা একদিন রেখে দিতে হবে। মানে আপনি মাছ মারতে যাওয়ার আগের দিন
-এই মিশ্রণটি বানিয়ে রাখবেন। মিশ্রণটি বানানো হয়ে গেলে ফাঁকা জায়গাতে বাতাস প্রবাহিত হয় এমন জায়গাতে রেখে দিন। তারপর যখন আপনি মাছ মারা শুরু করবেন তার আগে ওই মিশ্রণটিতে এক চা চামচ পরিমাণে ঘি মাখিয়ে নিয়ে আবার এটাকে হাত দিয়ে চাপতে হবে তারপরে বরশিতে গাথার উপযোগী করে নিতে হবে।
তারপর আপনি মাছ শিকারের জন্য যখন বরসিতে গাধার সময়, পরিমাণ মতো পিঁপড়ার ডিম ব্যবহার করতে হবে তাতে করে অনেক ভালো কাজ হবে। রুই মাছ যদি পুকুরে থেকে থাকে কিংবা নদীতে থেকে থাকে, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আপনার টোপ টি ১০০% কাজ করবে এবং আপনি অন্যদের চাইতে
-বেশি মাছ শিকার করতে পারবেন। এই পদ্ধতি গুলো আমরা আগে নিজে পরীক্ষা করে তারপর আপনাদের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকি আমাদের কাজ হয়েছে আশা করছি আপনাদেরও কাজ হবে।
সব মাছের চার
আপনি যদি একজন মৎস্য শিকারি হয়ে থাকেন তাহলে, অবশ্যই সব মাছের চার বানানোর পদ্ধতি আপনাকে জেনে রাখা প্রয়োজন।অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমি ভালোভাবে চার তৈরিকরি কিন্তু আমার বরশিতে মাছ ধরা পড়ে না কেন? আপনি যদি সঠিক নিয়মের মাছের চার তৈরি করতে না
আরো পড়ুনঃ সরিষা ফুলের মধুর উপকারিতা গুলো জেনে নিন
-পারেন, তাহলে আপনার বড়শিতে কোনভাবেই মাছ বেশি পরিমাণে ওঠার সম্ভব নয়। কারণ আপনার যে চার আপনি তৈরি করেন সেটি মাছকে আকর্ষিত করতে পারে না। সেজন্য আপনার বড়শিতে মাছ ওঠার পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়। আজকের নিয়মটি যদি আপনি ফলো করে থাকেন তাহলে আপনার
-পাশের জনের থেকেও আপনি অনেক পরিমানে মাছ শিকার করতে পারবেন বলে আশা করছি। আমার দেখানো টিপসগুলো নিয়ম অনুযায়ী ফলো করার পর, আপনি অন্যদের চাইতে বেশি মাছ শিকার করতে পারবেন কিভাবে আপনি সব ধরনের মাছের চার তৈরি করতে পারবেন সে বিষয়ে নিচে লিস্ট আকারে উল্লেখ করা হলো।
- গমের চিকন ভুসি ২ কাপ
- আতপ চাল ভাজা গুঁড়ো করা ৮ চামচ
- পোল্ট্রি ফিড ১ কাপ
- ভাসমান মাছের ফিড ১ কাপ
- ঘোরবাজ ৩ চিমটি
- মাছের মিষ্টি চার ১ কাপ
এবারে মিশ্রণগুলোকে একসাথে ভালো করে মিক্স করুন, খেয়াল রাখবেন যেন এগুলো ভালোভাবে মিক্স হয় ভালোভাবে মিক্স হওয়ার পর এগুলোকে হাত দিয়ে চেপে চেপে কয়েকটা মন্ড তৈরি করুন। যেখানে আপনারা মাছ শিকার করতে যাবেন অথবা টিকিট কেটে পুকুরে মাছ শিকার করতে সেখানে যাওয়ার
-পর আপনার যেই স্থান নির্ধারিত হয়েছে সেখানে এই মন্ড গুলো বড়শি ফেলার জায়গাতে ছুঁড়ে দিন, ছুঁড়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর অন্যান্য আইটেম যেমন পাউরুটি এজাতীয় আইটেমগুলো দিয়ে বরশিতে গেথে সেই স্থানে বরশি ফেলুন। আশা করছি অন্যদের তুলনায় আপনার মাছ শিকারের অভিজ্ঞতা অনেক ভালো
-হবে এবং আপনি প্রচুর মাছ ধরতে পারবেন। আরেকটা কথা বলে রাখা ভালো আমরা যে আইটেম গুলো উপরে লিস্ট আকারে উল্লেখ করেছি, তাতে উল্লেখিত ঘোরবাজ নামের যেই উপাদান এর কথা বলা হয়েছে। সেটি যে কোন মসলার বড় দোকানে গেলে আপনি সেটা সহজে কিনতে পারবেন ।আর যেই
-উপাদান গুলো আমি তৈরি করতে বললাম সেগুলোতে কোন পানি ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। পানি ব্যবহার করলে আপনি এর রেজাল্ট একটু কম পাবেন আর যদি আপনি নদীতে মাছ শিকার করতে চান সেক্ষেত্রে আমি যে উপাদানগুলো উপরে লিস্ট আকারে দিয়েছি সেগুলোর মধ্যে থাকা ঘোরবাজ নামের
আরো পড়ুনঃ ২০২৪ সালের পাসপোর্ট এর ফি কত জেনে নিন
উপাদানটি ডাবল করে দিবেন। আমার দেখানো নিয়ম অনুযায়ী যখন আপনার চার তৈরি করা হয়ে যাবে, তখন এগুলো একটা শপিং ব্যাগের মধ্যে ভরে ব্যাগের দুই সাইড ছোট্ট ছিদ্র করে দিয়ে একটা ইটের সাথে এটাকে ভালো করে দড়ি দিয়ে বেঁধে আপনি নদীতে যে জায়গায় বরসি ফেলবেন সেই
জায়গাতে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে নদীর স্রোতে এই উপাদান গুলো ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে এবং এর কার্যকারিতা চারিদিকে ছড়াতে থাকবে। ফলে মাছের ঘ্রানে আকৃষ্ট হয়ে আপনার বসির কাছে এসে টপ খুঁজতে থাকবে তখন আপনার বড়শিতে রাখা টোপ গিলে ফেলার
-সম্ভাবনাটা অনেকটাই বেড়ে যাবে এবং আপনি তখন প্রচুর মাছ শিকার করতে পারবেন। আরো কিছু টিপস জানতে চাইলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন আমি চেষ্টা করব আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে উপকৃত করার।
মাছ ধরার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ
অনেকেই জানতে চাই মাছ ধরার হোমিওপ্যাথিক ঔষধ এর নাম কি? কিন্তু সবাই এই ওষুধ টা দেখাতে চাই না বলতে চাই না। কিন্তু আজকে আমি আপনাদের মাছ ধরার ওষুধ সকল তথ্য মাছ ধরা ওষুধের নাম কোথায় কিভাবে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে আপনাদেরকে জানাবো। অর্থাৎ যারা হোমিও প্যাথিক ওষুধ দিয়ে
-মাছ ধরে থাকেন এটা কিন্তু খুবই কার্যকরী একটা পদ্ধতি। হোমিও ওষুধ দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব যদি আপনি এটা সঠিক ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এটি ১০০% কাজ করে থাকে। এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ টির নাম হল (এ্যাসাফেরাস কিউ,এ্যাসাফোটাইরা,এ্যাসাফোইটিরা,এ্যাসাফিটিরা)। এটা হচ্ছে হিং এর মাদারটিনজার।
এটা সব মাছ শিকার কার করার জন্যই কাজ করে। এটি কাজ হল মাছকে আকর্ষিত করা এটা নদী নালা খাল বিল যে কোন জায়গায় বর্ষি দিয়ে মাছ ধরার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং এটি ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। এটির ব্যবহারের পরিমাণ হলো এক থেকে দুই ফোটা সাদা টোপ এবং লাড্ডু টোপে ভালো কাজ করে থাকে।
এটি সব ধরনের মাছ শিকারের জন্য খুব ভালো কাজ করে রুই,কাতলা, কালবাউশ ইত্যাদি ধরনের মাছ শিকারের জন্য এটি খুব ভালো কাজ করে।এগুলো অনেকেই ব্যবহার করে থাকে এবং খুব ভালো ফল পেয়েছে আর বিশেষ করে রুই মাছ শিকারের জন্য আরেকটি ওষুধের নাম আপনাদের বলে দিচ্ছি। এটাও কিন্তু হোমিও ওষুধ।
কিন্তু একটা সমস্যা হলো এটা বাংলাদেশের দোকানে অরিজিনাল টা পাওয়া খুব কষ্টকর হয়ে যেতে পারে। চেষ্টা করবেন অরজিনালটা ব্যবহার করার, অরজিনালটা ব্যবহার করলে আপনি ১০০% রেজাল্ট পাবেন। রুই মাছ শিকারের ওষুধের নাম (গ্লাইসেরাইজিয়া গ্লাবরা) আপনি যখন হোমিও দোকানে যাবেন
-তখন হয়তো আপনাকে বলতে পারে বাংলাদেশীটা আছে কিংবা ইন্ডিয়ান টা আছে আপনি অরিজিনাল টা নেয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে আপনি রেজাল্ট খুব ভালো পাবেন, আপনি চেষ্টা করবেন বড় হোমিওপ্যাথিক দোকানে গিয়ে খোঁজ করার জন্য আমি অরিজিনাল জার্মানিটা নেয়ার চেষ্টা করবেন।
মাছ ধরার ওষুধের দাম অরিজিনাল জার্মানির টা এক আউন্স অর্থাৎ ৩০ মিলি এর দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত নিতে পারে। আর যেটা বাংলাদেশী অথবা ইন্ডিয়ান সেটা মাত্র ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন কিন্তু রেজাল্ট কেমন হবে সেটা বুঝতেই পারছেন আপনি চেষ্টা করবেন অরজিনালটা
-ব্যবহার করার। আর এটি অবশ্যই এক থেকে দুই ফোটার বেশি ব্যবহার করবেন না।তাহলে আপনার রেজাল্ট খারাপ আসতে পারে কারণ এটা অনেকটাই পাওয়ারফুল ওষুধ।আপনি এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি দারাজ থেকেও কিনতে পারেন।
People also ask:
মাছ ধরার জন্য কোন সিরাপ ব্যবহার করা হয়?
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ টির নাম হলঃ (এ্যাসাফেরাস কিউ)।
মাছ ধরার ঔষধ কোনটি?
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ টির নাম হলঃ (এ্যাসাফোটাইরা,এ্যাসাফোইটিরা,এ্যাসাফিটিরা)।
রুই মাছ ধরার ঔষধ?
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ টির নাম হলঃ রুই মাছ শিকারের ওষুধের নাম (গ্লাইসেরাইজিয়া গ্লাবরা)।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,আশা করছি আজকের মাছ ধরার যে টিপস গুলো আপনাদের সাথে আর্টিকেলের মাধ্যমে শেয়ার করা হলো। তা নিয়ম অনুযায়ী ফলো করলে আপনাদের মাছ শিকার করার জন্য অনেক সহায়ক হবে।এরকম আরো অনেক তথ্যবহুল আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়ে থাকে। আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করে রাখার অনুরোধ রইল।
পোস্ট ট্যাগ-
বরশি দিয়ে মাছ ধরার ঔষধ,মাছ ধরার মেডিসিন,বোয়াল মাছ ধরার ঔষধ,চিংড়ি মাছ ধরার ঔষধ,মাছ ধরার ঔষধ দাম,এমিল নাইট্রেট এর দাম কত,মাছ মারার বিষ কোনটি,রুই মাছ ধরার টোপ,রুই মাছ ধরার ঔষধ,নদীতে মাছ ধরার টোপ,বরশি দিয়ে মাছ ধরার খাদ্য,সব মাছের চার।