মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায় জানুনপ্রিয় পাঠক, আপনারা অনেকেই গুগলের সার্চ করে থাকেন যে স্ত্রী মশাও পুরুষ মশার পার্থক্য কি মশা কয় প্রকার ও কী কী?বর্তমান সময়ে যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনি কি নিয়ে বিরক্ত বোধ করেন? তাহলে হয়তো আপনার উত্তরটি এমন হতে পারে মশার জ্বালায় জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের মধ্যে এমন কৌতু হলো দেখা যায়।
পোস্ট সূচিপত্রস্ত্রী ও পুরুষ মশার পার্থক্য মশা কত প্রকার এবং কি কি? প্রাণী জগতের মাছি বর্গের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীটিই হচ্ছে মশা যার ইংরেজি নাম Mosquito। শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ মসকা এবং কিমিনিউকিক দুটি শব্দ থেকে। যেগুলোর অর্থ হলো যথাক্রমে ক্ষুদ্র এবং মাছি অর্থাৎ Mosquito শব্দের অর্থ হলো ছোট মাছি বা উড়তে সক্ষম এমন মাছি।
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক,আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা উত্তর খোঁজার চেষ্টা করব। স্ত্রী মশা ও পুরুষ মশার মধ্যে পার্থক্য মশা কয় প্রকার ও কি কি মশার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবং মশা সম্পর্কিত আপনার মনের মধ্যেকার প্রশ্নের অনেক উত্তর গুলো নিয়ে এই আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। মশাকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর আশা করছি পেয়ে যাবেন।
মশার জন্ম কিভাবে
তাহলে জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের ভাষায় মশার জন্ম কিভাবে? মশাজাতীয় পতঙ্গের প্রথম ফসিল পাওয়া যায় কানাডায় এক টুকরো অ্যাম্বরের (অ্যাম্বর হল একধরনের ছোট গাছ, যার গা থেকে একধরনের কেলাসিত আঠালো পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং এই কেলাসিত আঠালো পদার্থ লক্ষ লক্ষ বছর অক্ষত থাকে) ভেতর।
আরো পড়ুনঃ মশা তাড়ানোর ঘরোয়া পদ্ধতি
অ্যাম্বরের ওই টুকরোর ভেতর আটকে মরে যাবার পর,সেই মশাজাতীয় পতঙ্গটি অক্ষত থেকে যায় প্রায় ৭৯ মিলিয়ন বা ৭.৯ কোটি বছর। বার্মিজ এক টুকরো অ্যাম্বরে পাওয়া একটি প্রাগৈতিহাসিক মশার ফসিলের বয়স বিজ্ঞানীরা হিসেব কষে দেখেছেন প্রায় ৯০-১০০ মিলিয়ন বছরের মতো।
তবে গবেষকদের মতে, মশার পূর্ব পুরুষদের উৎপত্তি হয়তো আরও আগে হয়েছিল। ফসিল ছাড়াই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন, আজ থেকে প্রায় ২২৬ মিলিয়ন বছর আগে মশার পূর্বপুরুষদের উদ্ভব ঘটেছিল। মশা বংশ বিস্তারের জন্য আদর্শ জায়গা হল বদ্ধ পানি জলাশয় নোংরা পানি নোংরা ড্রেনের পানি ডোবা হ্রদ পানির কাছাকাছি জায়গা এবং জলজ উদ্ভিদ
মশার বৈশিষ্ট্য
মশা কয় প্রকার ও কী কী
স্ত্রী মশা ও পুরুষ মশার পার্থক্য
অনেকগুলো পা এবং উপঅঙ্গ বিশিষ্ট মশাদের মাথায় থাকে এক ধরনের শুড় যার সাহায্যে এরা বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে রক্ত শোষণ করে ।এবং মাথায় থাকে একজোড়া আন্টেনা যা সংবিধি তথ্যের রিসিপ্টর হিসেবে কাজ করে। স্ত্রী মশা ও পুরুষ মশার পার্থক্য বেশ কিছু রয়েছে পুরুষ মসা দের মাথা স্ত্রী মশাদের থেকে অনেক বেশি লোমস হয় ।
আরো পড়ুনঃ মশা মারার লিকুইড এর দাম জেনে নিন
একটি স্ত্রী মশা তার জীবন চক্রের প্রায় ১০০ থেকে ২০০টি পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম এ সমস্ত জায়গায় ডিম পাড়ার পর পরিপূর্ণ মশা হতে প্রায় ৪০ দিন মতো সময় অতিবাহিত হয়। একটি পুরুষ মশার আয়ু সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন হয়ে থাকে বিপরীতে একটি স্ত্রী মশা ডিম দেয়ার পর প্রায় ১ মাস মত বেঁচে থাকতে পারে তবে বেশিরভাগ স্ত্রী মশারায় এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকে।
মশার চোখ কয়টি
মশা একটি ক্ষুদ্র পতঙ্গ হলেও, এর শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিমাণ কিন্তু কম নয় একটি হাতির তুলনায় তার মশার শরীরে অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে। এই আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন মশার কয়টি চোখ রয়েছে এবং মশার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ পবিত্র কোরানে বিয়ের নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
বর্তমান বিজ্ঞান গবেষণা করে দেখেছে, একটি মশার ১০০টি চোখ রয়েছে, যার সবগুলোই তার মাথায় রয়েছে এবং প্রত্যেকটি চোখের সাহায্যে সে আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে পাই।
মশার ডানা কয়টি
মশার ডানা কয়টি এ বিষয় নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ করে থাকে,মূলত মশার বক্ষস্থলের দুই পাশে একটি করে ডানা রয়েছে। ডানাগুলো পাতলা এবং স্বচ্ছ লোমযুক্ত হয়ে থাকে। ডানার পাতলা ঝিল্লিতে শিরা গুলো দেখা যায়,যা মশার রক্তনালীর মতো কাজ করে থাকে।মশা তার ডানা দিয়ে উড়ে বেড়ায়।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের দৃষ্টিতে ধনী হওয়ার সহজ উপায় জানুন
মশা তার ডানা দ্রুত ঝাপটানোর মাধ্যমে মশা বাতাসে ভেসে থাকে এবং দিক পরিবর্তন করে থাকে।স্ত্রী এবং পুরুষ মশার ডানার ঝাপটানোর গতি ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। পুরুষ মশার ডানার ঝাপটানোর গতি স্ত্রী মশার চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। আর এই কারণে স্ত্রী মশার ডানা ঝাপটানোর শব্দ স্পষ্টভাবে শোনা যায়।